ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ঘরবাড়ি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিধ্বস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ২৪ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৭:৫৭, ২৪ অক্টোবর ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ঘরবাড়ি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিধ্বস্ত

গাছপালা পড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকেই জেলা জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাসে বইছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা নদী। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই ভোলা থেকে ঢাকা বরিশালসহ সকল রুটের লঞ্চ চলাচল ও ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ইলিশা ঘাটে আসা যাত্রীরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলার দুর্গম এলাকা চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরে জোয়ারের পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। 

ঢালচর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, অতি জোয়ারের পানিতে ঢালচরে ৪/৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে ১০/১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফাটল ধরে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়াও মনপুরার কলাতলী চর, চর নিজামসহ দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।


 এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোস্টগার্ডের ভোলা জেলায় ছয়টি টিম কাজ করছে। তারা স্থানীয়দের সর্তক করে মাইকিং করছে। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবীরা সর্তক করে মাইকিং করেছে।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাহাবুব রহমান জানান, উপকূলীয় জেলা ভোলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরীর জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখার জন্য অবহিত করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৩ হাজার ৬০০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। 

জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের তিন লক্ষাধিক বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের জন্য এক হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিকটন চাল ও পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×