ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে হ্রাস পেয়েছে ফল বিক্রি ও আমদানি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১ অক্টোবর ২০২২

যে কারণে হ্রাস পেয়েছে ফল বিক্রি ও আমদানি

ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিদেশ থেকে ফল আমদানি কমেছে

বাড়তি শুল্ক আরোপ, ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিদেশ থেকে ফল আমদানি কমেছে। পাশাপাশি মাল্টা, খেজুর, বাদামসহ বিভিন্ন ফলের বিক্রি কমেছে অর্ধেক। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশের কারণে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলছে না তফসিলী ব্যাংকগুলো। গ্যারান্টি মানিও শতভাগ রাখছে ব্যাংক। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমদানিতে কঠোরতার কারণে বিদেশ থেকে ফল আনা কমেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডি। এখানে আগে প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি টাকার ফল বিক্রি হতো বলে বিক্রেতা সমিতির পরিসংখ্যান। কিন্তু গত ৩ থেকে ৪ মাসে এই বিক্রি ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফল আমদানিতে নিয়ন্ত্রিত শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসি শর্তারোপের কারণে হ্রাস পেয়েছে আমদানি ও বিক্রি।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ফল আমদানিতে আগে শুল্ক আরোপ করত ৩ শতাংশ। বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত শুল্কারোপ দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ মার্জিনের কমে ফল আমদানির ঋণপত্র খুলছে না। যার ফলে ডলারের দামের সঙ্গে পার্থক্য বেশ দূরত্বে গিয়ে পৌঁছেছে।
সূত্রমতে, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে আগে ৭০ হাজার টন ফল বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। যা এখন ৩০ থেকে ৩৫ টনে নেমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২১ হাজার টন। আগস্টে দাঁড়ায় আনুমানিক ৩৩ হাজার টনে। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) ৩৪ হাজার টন বিদেশী ফল আমদানি হয়। কঠোর নিয়ম আরোপের কারণে আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বিদেশী ফলের আমদানি। যার কারণে দামও বাড়তি। তবে কিছু ফলের দাম হ্রাসও পেয়েছে।
জানা গেছে, রিজার্ভ ঘাটতি ঠেকাতে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য সকল পণ্যদ্রব্য আমদানি ঠেকাতে বিভিন্ন শর্তারোপ ও শুল্ক বৃদ্ধি করে। যার ফলে এর সরাসরি প্রভাবটা এসে পড়েছে বিদেশ থেকে ফল আমদানিতে।  বিদেশ থেকে ফল আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফলম-ির ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের নিয়ন্ত্রিত শুল্ক বাড়তির পাশাপাশি নগদ মার্জিনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ফলের আমদানি বন্ধ প্রায়। যার ফলে খেজুর, আপেলের দাম গুনতে হচ্ছে বেশি। কমেছে বিক্রি। আগে ১৮ কেজি ওজনের এক কার্টন আপেলের দাম ছিল আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৩০০ থেকে ৪৬০০ টাকা। অপরদিকে ৫ কেজি ওজনের এক কার্টন খেজুরের দাম বর্তমানে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। আকার ও মানভেদে আগে এক কার্টনের দাম আগে ছিল ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানি করা কাঠ বাদামের দাম ছিল কেজি ৫শ’ টাকা। বর্তমানে মানভেদে কাঠ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ টাকায়।

×