
চট্টগ্রামের ইপিজেড
চট্টগ্রাম ইপিজেডে দৈনিক পানির চাহিদা ৬০ লাখ গ্যালন। এর বিপরীতে ওয়াসার সরবরাহ মাত্র ২ লাখ গ্যালন। ১১২টি গভীর নলকূপ থেকে আসছে ৩০ লাখ গ্যালন।
ফলে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছিল স্বাভাবিক কার্যক্রম। পানি সঙ্কট মেটাতে গ্রহণ করা হয়েছে কর্ণফুলী পানি শোধন প্রকল্প। এর ফলে পানির চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনভাবে চাপ কমবে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর। নতুন এ প্রকল্পের পানি উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সিইপিজেড সূত্র জানায়, পানির সঙ্কট সমাধানে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে ঢাকা ভিত্তিক সিগমা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ওয়াটাার লিমিটেড। দৈনিক ৩০ লাখ গ্যালন পানি পরিশোধন করবে প্রতিষ্ঠানটি, যা সরবরাহ করা হবে ইপিজেডের কারখানাগুলোতে। কর্ণফুলী নদীর পানি শোধন করবে এ প্রতিষ্ঠান। এতদিন পর্যন্ত বেশিরভাগ পানি এসেছে ভূগর্ভ থেকে। পানির সঙ্কট যেমন চলছিল তেমনিভাবে ভূগর্ভের পানি উত্তোলনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় পরিবেশের ওপরও চাপ ছিল।
কর্ণফুলীর পানি শোধন প্রকল্পের অধীনে পতেঙ্গা সাইলো জেটি সংলগ্ন স্থানে পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে পানি আনা হচ্ছে ইপজেডের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে। পরিশোধিত নদীর পানি সরবরাহ হবে ইপিজেডে। নদীর এ স্থানটি সাগরের কাছাকাছি হওয়ায় লবণাক্ততার বিষয়টি দেখতে হচ্ছে। লবণ এড়াতে ভাটার সময় নদীর উপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আনা হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ইপিজেডে যে পরিমাণ শিল্প কারখানা রয়েছে তার জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। একেবারে শুরুর ব্যবস্থা দিয়ে এখন আর চলছে না। কারণ শিল্প কারখানার সংখ্যা বেড়েছে।
ভূগর্ভের পানি উত্তোলন আর বৃদ্ধি করা পরিবেশ সম্মত নয়। ফলে উপরিভাগের পানি ট্রিটমেন্ট করে চাহিদা মেটানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করেও নতুন এ প্ল্যান্টে সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল দেশের বৃহত্তম ইপিজেড।
এসআর