ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্রসহ আটক ৫

হাতিয়ায় জলদস্যুদের মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাতিয়ায় জলদস্যুদের মধ্যে গোলাগুলি, নিহত ২

জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে

হাতিয়ায় মেঘনার ঘাসিয়ারচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুই দস্যু মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তিরা হলেন, ঘাসিয়ারচরের ফখরুল বাহিনীর সদস্য মোঃ কবির ও মোঃ শাহরাজ। তাদের বাড়ি ঘাসিয়ারচরে। তবে কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার কথা স্থানীয় সূত্রের কাছ থেকে তারা শুনলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে কারও মৃতদেহ পাননি।
কোস্টগার্ডের তিনটি দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্রসহ পাঁচজন জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি গুলিসহ বেশকিছু ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও রড উদ্ধার করা হয়েছে। আটক জলদস্যুরা হলেন, সুবর্ণচরের আটকপালিয়ার মোঃ জিন্টু (৩৬), লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডারের চরের আবদুল্যাহ মোঃ হারুন (৩৭), রামগতির চরগাজীর মোঃ লিটন (৩৫), কমলনগরের চর কালিনীর মোঃ মোশারফ (৩৬) ও আলেকজান্ডারের মোঃ আজিম ব্যাপারী (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ারচরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে খোকন ডাকাতের বাহিনী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে বুধবার রাত তিনটার দিকে দুই পক্ষ গোলাগুলি শুরু করে। এতে ফখরুল বাহিনীর দুই সদস্য খোকন বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল বলেন, ঘাসিয়ারচর একটি অপরাধপ্রবণ এলাকা। বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে স্থানীয় দুটি জলদস্যু বাহিনী আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে গোলাগুলি শুরু করে। খবর পেয়ে তিনটি আলাদা দল নিয়ে দ্রুতগতির স্পীডবোটে করে তারা ঘাসিয়ারচর এলাকায় অভিযানে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় খোকন বাহিনীর পাঁচজন সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল কিঞ্জল বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হওয়ার কথা তারা শুনেছেন। তবে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কারও লাশ পাননি।

×