ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির
উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ১৫ দফায় আরও একদল রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছে। চলতি মাসের ৩য় সপ্তাহে ঐ দলটি ভাসানচরে উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করবে বলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা।
এছাড়াও এর আগে থেকে আশ্রয় নিয়েছিল ৪লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ১৩ লাখ। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশের সহায়তায় উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্প নির্মাণ করে তাদের আশ্রয় দিলেও তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে দাবি জানিয়ে আসছে এবং এ ব্যাপারে জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের উখিয়া ও টেকনাফের ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলো থেকে সরিয়ে আরও নিরাপদে রাখতে ভাসানচরে নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল টাকা ব্যয়ে আশ্রয় ক্যাম্প নির্মাণ করে সেখানে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
জানা গেছে, সম্প্রতি রোহিঙ্গা নেতাদের ভাসানচরে নিয়ে গিয়ে দ্বীপটি এবং সেখানে নির্মিত অবকাঠামো তাদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এরপর এসব নেতার অনেকে নানা ধরনের মত প্রকাশ করলেও ঘিঞ্জি বস্তিতে কষ্টে দিনযাপন করা রোহিঙ্গাদের অনেকেই ভাসানচরের আশ্রয় গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছে। বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাও ভাসানচরে যাবার ব্যাপারে তাদের লোকজনকে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।
ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের এই দলটিকে নিরাপদে ভাসানচরে পাঠাতে পারলে আরও অনেক পরিবার সেখানে যাবার ব্যাপারে প্রকাশ্যে আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে সরকার আশাবাদী।