মেঘনার তীব্র ভাঙ্গনে
রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের বসতভিটা ও জমি মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। গত দুই দিন যাবত এ ভাঙন তীব্্র হয়েছে। এদিকে নদীভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনরা। গত ৪০ বছর যাবত মেঘনার ভাঙনে গ্রামের কয়েক শতাধিক বিঘা ফসলি জমি, বসতবাড়ি গাছপালা ও সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মেঘনার পাড়ের আরও কয়েক শতাধিক পরিবার। ভাঙনকবলিতরা আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের লোকজনদের বাড়িতে। এ ছাড়া অনেকেই আবার সহায় সম্বল হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানায়, পলাশতলী গ্রামটি কয়েকদফার ভাঙনে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। এ গ্রামটিতে ৪ হাজারের বেশি লোকের বসবাস। এখানে রয়েছে দাখিল মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কবরস্থান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, গত দুই দিনের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ভয়ে আতঙ্কে দিশেহারা। তাদের মাথা গেঁাঁজার ঠাঁই নেই। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে গ্রামের অবশিষ্ট অংশ বিলীন হয়ে যেতে পারে। পলাশতলী গ্রামের নদীভাঙন এলাকাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুম, নরসিংদী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।