ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেধা তালিকায় পঞ্চম

বুয়েটে ভর্তির সুযোগ-মেধা তালিকায়  নীলফামারীর হৃদম

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ২ জুলাই ২০২২; আপডেট: ১৪:৩৫, ২ জুলাই ২০২২

বুয়েটে ভর্তির সুযোগ-মেধা তালিকায়  নীলফামারীর হৃদম

হৃদম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছে নীলফামারীর নাহিদ হোসেন হৃদম। ভর্তির মেধা তালিকায় তার নাম রয়েছে পঞ্চম স্থানে। হৃদমের বাবা নীলফামারী বিদ্যুৎ অফিসের সঞ্চালন লাইনের পরিদর্শক ও মা নুরজাহান বেগম নীলফামারী কুষ্ঠ সরকারি হাসপাতালের সিনিয়ন স্টাফ নার্স। হৃদম  নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। সে ১১৫৭ নম্বর পেয়ে এইচ এসএসিতে জিপিএ-৫ গোল্ডেন পায়। নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে হৃদম সহ আরও ১৬ জন শিক্ষার্থী বুয়েটে লিখাপড়ার জন্য সুযোগ পেয়েছে এবার। তাঁদের মধ্যে ছেলে ১৫ জন এবং মেয়ে একজন। এই নাম করা কলেজে থেকে এর আগে ৩৯ জন শিক্ষার্থী একই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সুযোগ পায়।বৃহ¯পতিবার(৩০ জুন) রাতে বুয়েট ২০২১-২২ ইং শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ওই ফলাফলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২ জুলাই) বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মেধা তালিকায় পঞ্চম নাহিদ হোসেন হৃদম সঙ্গে  কথা বললে সে জানায়, নীলফামারীর পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নটখানা গ্রামে তাদের বাড়ি। বাবা বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইনের একজন পরিদর্শক। বাবার দায়িত্বপূর্ণ এই কাজ দেখে আমি নিজেকে একজন প্রকৌশলী হিসাবে গড়ে তোলার স্বপন দেখি। সেই স্বপ্ন পুরনে আমি বুয়েটে লিখাপড়ার জন্য সুযোগ পেয়েছি।  হৃদম দেশ বাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেছে সে বুয়েট থেকে একজন প্রকৌশলী হয়ে দেশের জন্য যেন নিরশর ভাবে কাজ করতে পারে।

হৃদম ২০১৯ সালে নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়  থেকে ১০০২ নম্বর পেয়ে এসএসসিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হন। হৃদম আরও জানায় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে আমি সহ ১৬ জন শিক্ষার্থী বুয়েটে লিখাপড়ার জন্য সুযোগ পেয়েছি। আমরা বুয়েটেও ভাল কিছু করে দেখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

 সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন,  এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অত্যান্ত নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এখানে আমরা  সুশৃঙ্খল পরিবেশে তদারকির মাধ্যমে ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করে থাকি। এতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ যে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল নামে ১৯৬৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৭ সালে কলেজে উন্নীত হয়। তখন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয় নাম রাখা হয়। ২০২০ সালে এসে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ হিসাবেনতুন নামকরণ করা হয়।#

 

 

 

×