স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ শুরু হওয়ার একদিনের মাথায় বাংলাদেশে আবারও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলো ভারত। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজ রফতানি শুরু করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে ঢুকার পথে পেঁয়াজ নিয়ে আটকে থাকা প্রায় আড়াই শ’ ট্রাকের মধ্যে শনিবার এই বন্ধর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাক প্রবেশ করে। কিন্তু আজ রবিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনও পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি। নতুন করে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শনিবার আমদানি হওয়ায় বর্তমানে কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবুল কাসেম ও রনজিত পাল বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার বেশ চড়া। মাঝেমাঝে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কিছুটা কমলেও, আমদানি না হওয়ার কারণে আবারও দাম বেড়ে যায়। তবে গত শনিবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে, বন্দরের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। শনিবার প্রকারভেদে আড়তগুলোতে পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রবিবার তা কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু খারাপ পেঁয়াজ রয়েছে, যেগুলো ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ বলেন, ‘ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনও কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। শুক্রবার এক নির্দেশনায় তারা জানায়, টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক অনুমতি দেওয়ায় শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২শ’ ৪৬ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে, তার অধিকাংশ ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে পানি ঝরছে। এ কারণে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘এখনও দুইশ’র বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের এলসি দেওয়া রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এগুলোর বিষয়ে তারা কী করবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কারণ শুধু গত রবিবারের টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রফতানির জন্য অনুমতি দিয়েছিল ভারত। কিন্তু নতুন করে কোনও নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভারতীয় কাস্টম বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ রফতানি করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’