ডিআরইউ’র দৌড় প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়ে ২০-তম পদক জিতলেন রুমেল (বায়ে)
চোট নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়াটাই যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ বা প্রায় অসম্ভব, সেখানে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করাটা নিশ্চয়ই বিস্ময়কর বা কৃতিত্বের। এমনই কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন রুমেল খান।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ডিআরইউ গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া উৎসব-২০২২’ -এ পুরুষ সদস্যদের ১০০ মিটার এবং ৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার পল্টন ময়দানে প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। তাতে দৌড়ের একপর্যায়ে এক প্রতিযোগীর সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত “মৃদু শারীরিক সংঘর্ষ” হয় রুমেলের। এরপর ফিনিশিং লাইনের সামনে গিয়ে রুমেল শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান। এর ফলে ডান হাঁটুতে তীব্র ব্যথা পান দৈনিক জনকণ্ঠের এই ক্রীড়া সাংবাদিক। পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় শেষ করেন রুমেল এবং চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।
এই ইভেন্টে যুগান্তরের জোতির্ময় মণ্ডল চ্যাম্পিয়ন, চ্যানেল আই’র তারিকুল ইসলাম মাসুম রানারআপ এবং ভোরের আকাশের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
দৌড় শেষে উপস্থিত প্রতিযোগী-সহকর্মীরা রুমেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। তারা রুমেলকে আধ ঘণ্টা পরে শুরু হতে যাওয়া আরেকটি ইভেন্ট ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিতে নিষেধও করেন। কিন্তু রুমেল তাতে কর্ণপাত না করে স্রেফ মনের জোরেই ওই ইভেন্টে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত নিয়ে খারাপ করেননি রুমেল। হয়েছেন তৃতীয়! চ্যাম্পিয়ন হন চ্যানেল আই’র তারিকুল ইসলাম মাসুম। রানারআপ হয়েছেন যুগান্তরের জোতির্ময় মণ্ডল।
৪০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় হয়ে ডিআরইউতে এ নিয়ে ব্যক্তিগত ২০-তম পদক জিতলেন রুমেল। আর দূরপাল্লার দৌড়ে এটা তার চতুর্থ পদক। এর আগে ২০১৪ সালে রানারআপ, ২০১৬ সালে তৃতীয়, ২০২০ সালে রানারআপ এবং ২০২১ সালে রানারআপ হয়েছিলেন।
শনিবার এই দৌড় প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডিআরইউ’র ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা। ইভেন্ট দুটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আলী।