
নুরুল হাসান সোহান ও খালেদ আহমেদ
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আগের দিন ৪ উইকেট তুলে ফাইফারের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। দিন শেষে দুটি উইকেট তুলে নিলেন এই পেসার। ফলে খালেদের তোপে ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
এরপর বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সিলেটে প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল এগিয়ে আছে সাত রানে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান।
২২৬ রানে ৮ উইকেটে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫৬ রানে। আগের দিনের চার উইকেটের সঙ্গে আরও দুটি উইকেট যোগ করে সৈয়দ খালেদ আহমেদ থামেন ৫৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে। এ নিয়ে নবমবারের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন তিনি।
সকালে শেষ দুই জুটিতে নিউজিল্যান্ড ঘণ্টাখানেক খেলে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৩০ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মিচেল হে ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক দলকে পার করান আড়াইশ’। নবম উইকেটে ৪৪ রান তোলেন দুজন। পরপর দুই ওভারে এই দুজনকেই ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন খালেদ। ২৮ রান করা ক্লার্ককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙার পাশাপাশি পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় শতরানের আশায় থাকা মিচেল হে আউট হন ৮১ রানে। ৮ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে এ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
জবাবে আত্মবিশ^াসী ব্যাটিং শুরু করেন জাতীয় লিগে ৭০০ রান করা এনামুল হক বিজয়। মুহাম্মদ আব্বাসকে পুল করে দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা নিয়ে ক্যাচ দেন কিপারকে। ৩৭ বলে ২৪ রান করেন তিনি। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর টপ অর্ডারের অন্যরাও ভালো করতে পারেননি।
সাম্প্রতিক বারবার যেভাবে আউট হয়ে আসছেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়, এবারও তারা কাটা পড়েন সেভাবেই। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে আলগা ড্রাইভ খেলে কিপারকে ক্যাচ দেন ১২ রান করা জাকির। জয় চার রানে জীবন পান গালিতে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু চারটি চারে ১৮ করে স্লিপে ক্যাচ দেন।
এরপর অমিত হাসানের শুরুটা ছিল সাবলীল। কয়েকটি ভালো ড্রাইভ ও ফ্লিক খেলেন তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের মতো বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। বাঁহাতি আব্বাসের লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে হুক করে ধরা পড়েন তিনি সীমানায়। যাবার আগে ২৮ বলে ২৪ রান করেন। ৮১ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে প্রতিআক্রমণ চালিয়ে দলকে এগিয়ে নেন সোহান। ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৮ বলে ১০৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার দ্বাদশ শতরান এটি।