
.
প্রিয় পাঠক, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ ফেভারিটদের ভাগ্য পরীক্ষা হয়ে যেতে পারে! কেন বলছি তার কারণও আছে। আজ একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। এই চারটি দলের মধ্যে তিনটিরই সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আছে। যে কারণে যারা হেরে যাবে তাদের ছিটকে পড়া সম্ভাবনা জাগবে। আর জয় পাওয়া দল সেমির দৌড়ে এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে শুক্রবার আফগানিস্তান আরেকটি দুর্দান্ত জয়ে সেমিফাইনালের রেসে ভালোমতো ঠিকে আছে। আফগান পাঠানরা প্রতিনিয়ত মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলেছে। তারা সেরা চারে উঠে গেলে আর অবাক হওয়া চলবে না। মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের মুন্সিয়ানা প্রমাণ করেই এ সম্মান পেয়েছে আফগানরা।
নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের ম্যাচটি হতে পারে রোমাঞ্চকর। কিউইরা শুরুটা দারুণ করার পরও এখন শঙ্কায় আছে। তারা টানা চারটি ম্যাচ যখন জিতল তখন অনেকেই কিন্তু ধরে নিয়েছিল সেমিফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে টানা তিন ম্যাচ হেরে বিপাকে পড়ে গেছে ব্লাক ক্যাপসরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা নেই। এটা তাদের কখনোই ছিল না। তারা কখন কি করে সেটা বোধহয় নিজেরাও জানে না! এবার প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর আবার ব্যর্থতা। এরপর ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমির রেসে এসেছে। সাত ম্যাচে তিন জয় ও চার হারে নিউজিল্যান্ডের ঠিক পরেই তারা। আজ পাকিরা জিততে পারলে কিউইদের সমান পয়েন্ট হয়ে যাবে। তখন সেমির আগে বাদ পড়ার চিন্তায় পড়ে যাবে বর্তমান রানার্সআপরা। যে কারণে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে কিউইরা। ওরা জিতলে শঙ্কা কাটিয়ে সেমিফাইনালের দিকে চলে যাবে। এ ম্যাচটি তাই দুদলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটিও উত্তাপ ছড়াবে মনে হচ্ছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও তাদের জন্য এটি সম্মানের ম্যাচ। সেই সঙ্গে ম্যাচটি জিতে ইংলিশরা অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে চাইবে। ইংল্যান্ডের হয়তো খারাপ সময় যাচ্ছে, কিন্তু তাদের সক্ষমতার কমতি নেই। যে কারণে তারা অজিদের মরণ কামড় দিয়ে বসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা বাজে হলেও কি দারুণভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ ম্যাচটি জিতলে অজিদের সেমিতে খেলা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে অজিরা অবশ্য ইনজুরি নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে। খেলতে পারবেন না ম্যাক্সওয়েল ও মার্শ। এটা তাদের ভোগাতে পারে।
প্রিয় পাঠক, আফগান রূপকথা চলছেই। আফগান পাঠানরা আরেকবার দেখিয়ে দিয়েছে তারা অনেক দূরে যাওয়ার জন্য্যই এসেছে। তাদের এ বিষয়টি এতটাই দুর্দান্ত যে, হার মানতে নারাজ। হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র না। প্রতিটি ম্যাচে বুক চিতিয়ে লড়াই করছে, সাহস নিয়ে খেলছে। আগেই হেরে বসে থাকে না। তাদের এখন এই বিশ্বকাপে চারটি জয় হয়ে গেছে। এটা কি ভাবা যায়! এখন তারা ভালোমতো সেমির রেসে চলে এসেছে। সামনে কি হবে সেটা তারাই নির্ধারণ করবে! সৈয়দ মুজতবা আলীর পাঠানের মতোই চমক দেখিয়ে চলেছে আফগানরা।
অনুলিখন : জাহিদুল আলম জয়