
ছবি: সংগৃহীত
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। হামলা-পাল্টা হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এর বাইরে চলছে তথ্যযুদ্ধ— বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে নানা অপতথ্য ও গুজব। দেশ দুটির মূলধারার সংবাদমাধ্যমও যেন একে অপরকে দোষারোপের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। নিজেদের সরকারের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে একতরফা খবর, যা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে রাখছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় উপমহাদেশের আরেক দেশ বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। এখানকার কিছু সংবাদমাধ্যমও গুজব ও অনুমান নির্ভর তথ্য পরিবেশন করছে। দর্শক কী শুনতে চায়, সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে খবর প্রচার হচ্ছে; ফলত, নিরপেক্ষ ও যাচাইযোগ্য তথ্য পাওয়াটা হয়ে পড়েছে কঠিন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা টিভি চ্যানেল ‘ঠিকানা’-এর "ঠিকানায় মুহিউদ্দীন" শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে ই-সাউথ এশিয়ার প্রধান সম্পাদক মাসকাওয়াথ আহসান বলেন, “ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তান হামলা করেছে— এমন অভিযোগ ভারতের পক্ষ থেকে তোলা হয় এবং সেই অভিযোগকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মিডিয়া শতবার করে প্রচার করে। এরপর এমন এক আবহ তৈরি করা হয় যেন এটি ধর্মীয় বা অতিপ্রাকৃত কোনো চক্রের নির্দেশিত কিছু। এই পরিবেশ সৃষ্টির পরেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পাল্টা হামলা চালানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম কিংবা সাধারণ জনগণ এই তর্কে খুব একটা সক্রিয় নয় বলেই মনে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকার এককভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।”