ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

অতিরিক্ত সময়ে গড়াল আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচ

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৩০ মে ২০২৩

অতিরিক্ত সময়ে গড়াল আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচ

ফুটবল ম্যাচ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইালে মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী-মোহামেডান। এই ম্যাচকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার ফাইনাল জমেও ওঠেছে বেশ।  প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডান দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে দুই দলের খেলা ৩-৩ সমতায় শেষ হয়েছে। খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।

মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতেও গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।  

ম্যাচ ঘড়ির ১৭ মিনিটে আবাহনী লিমিটেড এগিয়ে যায়। এমেকা ওগবাহর দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দারুণ পাস থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ক্ষিপ্র গতিতে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপার সুজন হোসেনকে পরাস্ত করেন। এগিয়ে যাওয়ার গোলে আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব করেছে আকাশী-নীল জার্সিধারি সমর্থকরা।

২৯ মিনিটে কলিনদ্রেস-এমেকা হয়ে বল পেয়ে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম সরাসরি লক্ষ্যে শট নিলেও এই যাত্রায় গোলকিপার প্রতিহত করে ব্যবধান বাড়তে দেননি। ৩৮ মিনিটে কলিনদ্রেসের ক্রসে এমেকা মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।

৪৩ মিনিটে আবাহনী ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। মোহাম্মদ হৃদয়ের লং পাস থেকে বক্সের ভিতরে পেয়ে কলিনদ্রেস ডিফেন্ডার হাসান মুরাদকে ছিটকে দিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে দারুণভাবে জাল কাঁপান। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিক পোস্ট ছুঁয়ে যায়।

এই অর্ধে মোহামেডান মাঝেমধ্যে প্রতিপক্ষের অর্ধে গিয়ে বল নিয়ে গেলেও গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলকে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। সেটপিস থেকে সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি সুলেমানে দিয়াবাতে-ইমানুয়েলরা।

বিরতির পর ম্যাচ আরও জমে ওঠে। মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামেন শাহরিয়ার ইমন ও জাফর ইকবাল। সাদা-কালোরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এই অর্ধে হয়েছে চার গোল। শুরুর দিকে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে সুলেমানে দিয়াবাতের জোরালো শট দূর দিয়ে যায়।

৫২ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের পাসে ইমানুয়েল সানডের জোরালো শট সাইড নেট কাঁপায়। ৫৫ মিনিটে জাফর ইকবালের জোরালো শট গোলকিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে।

৬০ মিনিটে স্কোরলাইন ২-২। জাফর ইকবালের বাঁ প্রান্তের ক্রসে সুলেমানে দিয়বাতের জোরালো হেড জড়িয়ে যায় জালে। ৬৫ মিনিটে সোহেল রানার ক্রসে এমেকার হেড ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৬৬ মিনিটে ফাহিমের জোরালো শট গোলকিপার সুজন ঠিকঠাক প্রতিহত করতে পারেননি, ৬ গজের দূরত্বে থেকে এমেকা দারুণ শটে জাল কাঁপান।

৮৩ মিনিটে দিয়াবাতে হ্যাটট্রিক করে দলকে সমতায় ফেরান। সতীর্থের কর্নারে তিনি লাফিয়ে উঠে লক্ষ্যভেদ করে সাদা-কালোদের প্রাণ নতুন করে ফিরিয়ে আনেন।

 

 এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×