ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ১-১ নেপাল

বাংলাদেশকে রুখে দিয়েছে নেপাল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪০, ২৯ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশকে রুখে দিয়েছে নেপাল

কমলাপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচশেষে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাংলাদেশ ও নেপালের নারী ফুটবলাররা

ঠিক যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আসরটা শেষ করতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাদের লক্ষ্য ছিল সাফ অঞ্চলের বাকি তিন দেশকেই হারানো। এই লক্ষ্যে তারা ভুটান ও ভারতকে হারিয়ে অনেকটাই লক্ষ্যপূরণের কাছাকাছি ছিল। মঙ্গলবার বাকি ছিল নেপালকেও হারিয়ে লক্ষ্য শতভাগ পূরণ করা। কিন্তু সেটা আর পারেনি তারা। ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।

খেলার প্রথমার্ধে নেপাল ১-০ গোলে এগিয়েছিল। ৪ ম্যাচে এটা বাংলাদেশের প্রথম ড্র। আগের দুই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করেছে তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ দলের মধ্যে চতুর্থ হলো হিমালয়ের দেশ নেপাল। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচের (রাশিয়া বনাম ভারত) ফলের ওপর নির্ভর করবে এই আসরে বাংলাদেশ রানার্সআপ, নাকি তৃতীয় স্থান অধিকার করলো।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেপাল কোচ ভাগতি রানা মাগার বলেন, ‘আমরা ম্যাচে জিততে চেয়েছিলাম। আগে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো খেলে গোল শোধ করে ম্যাচটা ড্র করে। ঠিক আছে, এটা হতেই পারে। আমি দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। বাংলাদেশের ১৪ নম্বর জার্সিধারী (তৃষ্ণা) খুব ভালো খেলেছে।’
বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘প্রথমার্ধের ২০ মিনিট বাদ দিলে ম্যাচের বাকি সময়টায় আমরা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছি। গোলদাতা সাগরিকা গত লিগে তেমন ভালো খেলেনি। কিন্তু তার স্কোরিং অ্যাবিলিটি দেখে মনে হয়েছিল তার মধ্যে কিছু একটা আছে। ঠিকমতো নার্সিং করলে সাগরিকা আরও উন্নতি করবে। আমি মনে করি রাশিয়াকে বাদ দিলে এই আসরে সাফ অঞ্চলের সেরা দল আমরাই। দলের মেয়েরা এই আসরে খেলে তাদের অভিজ্ঞতার ভা-ার সমৃদ্ধ করেছে, যা আগামী মাসে এএফসির টুর্নামেন্টে খেলতে সাহায্য করবে।’

ম্যাচের ২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত নেপাল। নেপালের ফরোয়ার্ড বর্ষা অলি দূরপাল্লার উঁচু শট নেন বক্সের ৪০ গজ দূর থেকে। বাংলাদেশ গোলরক্ষক সঙ্গীতা লাফিয়ে সেটা কোনোমতে ধরে ফেলেন। ৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পড়েন নেপালের সেনু পারিয়ার। এদিকে বিপদ বুঝে সামনে এগিয়ে আসেন সঙ্গীতা। কিন্ত সঙ্গীতাকে কোন সুযোগই দেননি সেনু। 
ডান পায়ের কৌনিক ও জোরালো-উড়ন্ত শটে জাল কাঁপান তিনি (১-০)। লিড নেয় নেপাল। ২৯ মিনিটে আবারও একইভাবে গোল করতে পারতেন সেনু। কিন্তু এবার তার শটটি গোলপোস্টের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। ৫৬ মিনিটে নেপালের ডি-বক্সের মাথা থেকে সুরভীর ডান পায়ের গড়ানো শটে তেমন জোর ছিল না। ফলে তা সহজেই ধরে ফেলেন নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। ৭১ মিনিটে বাংলাদেশের বদলি ফরোয়ার্ড তৃষ্ণা রানী চমৎকারভাবে নেপালের তিনজনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে যে শটটি নেন, তা ফিস্ট করেন সুজাতা।

৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। নিজেদের সীমানায় থ্রো ইন পায় তারা। তা থেকে বল পেয়ে ডান উইং ধরে দুই নেপালি খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দ্রুতগতিতে নেপালের বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন তৃষ্ণা। সেখানে আরেকজনকে কাটিয়ে যে গড়ানো ক্রস করেন, তা থেকে চমৎকারভাবে ফিনিশ করে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠেন সাগরিকা (১-১)। বাকি সময়টায় বাংলাদেশ প্রচুর আক্রমণ শাণায়, কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় সেগুলো আর গোল হয়নি।

×