ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির মাঝেও উত্তপ্ত কথার লড়াই ভারত-পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১০:০১, ১৩ মে ২০২৫

যুদ্ধবিরতির মাঝেও উত্তপ্ত কথার লড়াই ভারত-পাকিস্তানের

ছবি : সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে 'সন্ত্রাসবাদের বিশ্ববিদ্যালয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকের মতো স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। মোদি আরও বলেন, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না করে, তবে ভারত পুনরায় সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ মোদিকে 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বীকৃত সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ভারত কেবল দেশে নয়, বিদেশেও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে, এমনকি কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের টার্গেট করেছে। আসিফের দাবি, ভারত পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সহায়তা দিয়ে এসেছে। 

সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিনের সামরিক উত্তেজনার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ দাবি করেছেন, এই সংকটে পাকিস্তান কূটনৈতিক, সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক—সব দিক থেকেই সাফল্য পেয়েছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বড় শিকার হলেও, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সহায়তা দিয়ে এসেছে।

মোদির সম্প্রতি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, “মোদির কথাবার্তায় পরাজয়ের ছাপ স্পষ্ট”। তিনি আরও বলেন, কাশ্মির ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা এখনও খোলা আছে—এই স্বীকারোক্তি মোদির পক্ষ থেকেই এসেছে, যা পাকিস্তানের জন্য একটি “আশার দিক”।

এদিকে মোদি জানান, ‘প্রথমত, ভারতের ওপর যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার কড়া এবং নির্ধারক জবাব দেওয়া হবে। ভারত তার নিজস্ব শর্তে পাল্টা আঘাত হানবে, সন্ত্রাসের উৎসস্থলে লক্ষ্য স্থির করে। দ্বিতীয়ত, ভারত পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকিতে ভীত হবে না। এই অজুহাতে পরিচালিত যেকোনো সন্ত্রাসী ঘাঁটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক হামলার মুখোমুখি হবে। তৃতীয়ত, ভারত আর সন্ত্রাসী নেতা ও তাদের আশ্রয়দাতা সরকারগুলোকে আলাদা সত্তা হিসেবে দেখবে না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করেছেন। তবুও মোদি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি সাময়িক, এবং পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে, তবে ভারত পুনরায় সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

এই উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। বিশ্ব সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। 

 

সূত্র- দ্য ডন , এনডিটিভি

সা/ই

×