ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

নিজেদের শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকাচ্ছে ভারত! বিজিবি’র মহাপরিচালক দেখালেন ভারতের শরণার্থীদের আইডি কার্ড

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৩ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৫, ১৩ মে ২০২৫

নিজেদের শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকাচ্ছে ভারত! বিজিবি’র মহাপরিচালক দেখালেন ভারতের শরণার্থীদের আইডি কার্ড

ছবিঃ সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত ৭ এবং ৮ মে, দুই দিনের মধ্যে বিএসএফ বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ২০২ জন নাগরিককে। এদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিভিন্ন কাজে ছিলেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের সন্তানও রয়েছে, যারা ভারতের আধার কার্ড ও অন্যান্য ডকুমেন্টস পেয়েছিলেন। বিএসএফ তাদের এসব ডকুমেন্ট রেখে দিয়ে সীমান্তে পুশ ইন করেছে।

এ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল সিদ্দিকী আরও জানান, আমাদের উপদেষ্টার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং পুলিশের মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের ভেরিফিকেশন করা হয়। যাদের বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তবে, এ ঘটনায় ৩৯ জন রোহিঙ্গাও শনাক্ত হয়েছে, যারা পূর্বে বাংলাদেশের এফডিএমএন ক্যাম্পে রেজিস্টার ছিল এবং কোনভাবে পালিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তারা আবার ক্যাম্পে ফিরে গেছে। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা ভারতীয় ইউএনএইচসিআর (ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশন ফর রিফিউজি) এর রেজিস্ট্রেশনকারী ব্যক্তি ছিল। তারা ভারতের রিফিউজি শিবিরে আইডি কার্ড পেয়েছিল এবং এ বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে, মহাপরিচালক সিদ্দিকী আরও জানান, এই বিষয়টি বাংলাদেশের ইউএনএইচসিআর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানানো হবে। বিএসএফ এখনও এই বিষয়টি স্বীকার করতে চায় না এবং দাবি করছে যে এসব ব্যক্তি নিজেই ভারতে গিয়েছিল এবং আবার নিজেই দেশে ফিরেছে। তবে, এই দাবি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, "আমরা ফ্ল্যাগ মিটিং করে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, খাগড়াছড়ি এলাকার সীমান্তে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন নাগরিক বিএসএফ পুশ ইন করার চেষ্টা করছে, তবে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সজাগ দৃষ্টি ও কঠোর পেট্রোলিংয়ের কারণে তারা সাফল্য পায়নি। তবে, গত দুইদিনে সুন্দরবন এলাকার মান্দারবাড়িয়া চর দিয়ে ৭৮ জনকে একটি ভারতীয় জাহাজে করে পাঠানো হয়েছিল, যাদের কোস্টগার্ড উদ্ধার করে তাদের নিজ এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

মহাপরিচালক সিদ্দিকী জানান, বিজিবি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং অবৈধ পুশ ইন বন্ধ করার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/uWQcEpEdLxI?si=Bfk4LCQODhT2j35Y

মারিয়া

×