
রিটার্ন শট খেলছেন ব্রিটেনের এমা রাদুকানু
উড়ছেন এমা রাদুকানু। সিনসিনাত্তি মাস্টার্সে টানা দুই ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনের এই তরুণী। আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে এই টুর্নামেন্টের মিশন শুরু করেছিলেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে কোর্টে নেমেছিলেন ১৯ বছরের এই তরুণী। যেখানে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন আরেক সাবেক নাম্বার ওয়ান ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। বেলারুশ সুন্দরীকেও রীতিমতো উড়িয়ে দিলেন রাদুকানু। ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এদিন ৬-০ এবং ৬-২ গেমে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে।
সেরেনার পর আজারেঙ্কাকেও হারিয়ে দারুণ খুশি এমা রাদুকানু। ম্যাচের শেষে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বর্তমান বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের ১৩ নম্বরে থাকা এই তারকা বলেন, ‘অসাধারণ একটি ম্যাচ খেলেছি সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে ভিকার (ভিক্টোরিয়া) বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই আমার মনোযোগী থাকতে হয়েছে।’ ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এমা রাদুকানু। গত মৌসুমে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। ফাইনালে কানাডিয়ান তরুণী লেইলা ফার্নান্দেজকে উড়িয়ে দিয়ে ইউএস ওপেনের মুকুটটা নিজের করে নিয়েছিলেন এমা। সেইসঙ্গে ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়েডের উইম্বলডন জয়ের পর তিনিই গড়েন নতুন ইতিহাস। দীর্ঘ ৪৪ বছর পর সে অধরা শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ঘুচান এমা রাদুকানু। শুধু তাই নয়? ২০০৪ সালে ১৭ বছরে সবচেয়ে কম বয়সী নারী খেলোয়াড় হিসেবে গ্রান্ডস্লাম জিতেছিলেন রাশিয়ার সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা মারিয়া শারাপোভা। তারপর এমা রাদুকানুই সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গ্রান্ডস্লাম জয়ের এই কীর্তি গড়েন। সেই ইউএস ওপেনেরই প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সিনসিনাত্তি মাস্টার্সকে। এই টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে আজ আবারও কোর্টে নামবেন রাদুকানু। যেখানে তার প্রতিপক্ষ আমেরিকার জেসিকা পেগুলা।
এমা রাদুকানু ছাড়াও এদিন শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেছেন ইগা সুইয়াটেক, এরিনা সাবালেঙ্কা এবং মেডিসন কেইসের মতো তারকারা। বর্তমান বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান তারকা ইগা সুইয়াটেক। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিলেন পোল্যান্ডের এই তারকা। একের পর এক শিরোপা জিতে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। এই সময়ে টানা ৬ শিরোপা জিতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান বর্তমান বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা। পরাজয়ের স্বাদটা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে উইম্বলডনে টানা ৩৭ ম্যাচ পর হারের দেখা পান সুইয়াটেক। এরপর দুটি টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। নিজের দেশ পোল্যান্ড এবং কানাডিয়ান ওপেনেও ব্যর্থ ছিলেন শীর্ষ তারকা। কিন্তু সিনসিনাত্তি মাস্টার্সে যেন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সুইয়াটেক। দারুণ জয় দিয়েই ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্টের মিশন শুরু করেছেন তিনি। নিজের প্রথম ম্যাচে আমেরিকান তারকা স্লোয়ানে স্টিফেন্সের মুখোমুখি হন নাম্বার ওয়ান তারকা। সেই ম্যাচে ৬-৪ এবং ৭-৬ ব্যবধানে স্টিফেন্সকে পরাজিত করে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেন সুইয়াটেক। দ্বিতীয় ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ আরেক আমেরিকান তারকা মেডিসন কেইস। যিনি ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কোকে পরাজিত করেন।