
তামিম ইকবাল
দুর্বলতর প্রতিপক্ষ জিম্বাবুইয়ে। এবার ৩ ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হওয়ার আগে টানা ১৯ ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জিম্বাবুইয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তামিম ইকবালের দল। অথচ তামিমের নেতৃত্বে টানা ৫ সিরিজ জিতে এবার জিম্বাবুইয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবু হারের কারণ হিসেবে দলের রান কম হওয়াকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ৩০৩ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
পরে ব্যাট করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জিম্বাবুইয়ে অনায়াসে। তৃতীয় ম্যাচে ২৫৬ রান করেও অবশ্য জিম্বাবুইয়ের ব্যাটিং বিপর্যয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু তামিম দাবি করেছেন, ওয়ানডেতে এখন ৩৫০ রান করতে হবে এবং সেটাই দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
টি২০ ক্রিকেটের যাত্রা শুরুর পর থেকেই বোলারদের জন্য কঠিন সময়। ব্যাটাররা অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন। তার প্রভাব ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও দেখা যাচ্ছে। এখন ওয়ানডেতে ৩০০ রানের নিচে কোন দলীয় সংগ্রহই দেখা বিরল ঘটনা। অধিকাংশ ম্যাচেই ৩০০-৩৫০ রান হচ্ছে। অথচ একটা সময় ওয়ানডেতে ২৫০ পেরোনো সংগ্রহই অনেক লড়াকু পুঁজি হিসেবে গণ্য ছিল। এখন পরিস্থিতি পাল্টালেও বাংলাদেশ দল পাল্টায়নি। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুর্বল জিম্বাবুইয়ের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান করলেও পরের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৯০ ও ২৫৬ রান করে। এ বিষয়ে তামিম তাই বললেন, ‘এটা আমাদের দলীয় লক্ষ্য- আমরা ৩৫০ রান করতে চাই। এটা আমাদের মাথায় আছে। কোন এক সময় ৩৫০ রান করতে চাই যা আমরা আগে কখনও করিনি।
এটা বলছি না পরের ম্যাচেই ৩৫০ রান করে ফেলব। তবে আমাদের এই লক্ষ্য আছে।’ সেই লক্ষ্যটা জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী দল নিয়েও হারারের ব্যাটিং স্বর্গে করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু তামিম মনে করেন ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচেই ৩০০ রান হবে বলে-কয়ে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, ভারতে গড়ে ম্যাচ প্রতি ৩০০ রান হবে।
খেলাটা বদলে যাচ্ছে। মিরপুর আর ভারতের কিছু ভেন্যুতে ২৬০-২৭০ রান করে জিততে পারবেন। বাকি বেশিরভাগ ভেন্যুই ২৯০, ৩০০, ৩১০ রানের মতো। এই জিনিসটা নিয়ে আমরা বেশ সতর্ক। আগামী দিনে আমাদের এভাবেই দেখতে পাবেন।’