
ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক ও লেখক কাজী রওনক হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় দলটি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে। তিনি বলেন, “এতে কার লাভ হবে জানি না, তবে আওয়ামী লীগের লাভ হয়েছে। তারা এখন আন্দোলন বা নির্বাচনের মাঝখানে একটি ‘সেফ গার্ডে’ চলে গেছে। এখন যত কিছুই ঘটুক, তারা সহজেই বলবে— আওয়ামী লীগ তো নেই, কাজেই দায়ও নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞার ফলে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে ছাড় দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।”
রওনক হোসেন বলেন, রমজানের সময় বাজার নিয়ন্ত্রণে ছিল, কারণ তখন সিন্ডিকেট ভাঙা বা নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। “চাঁদাবাজি আগে একচেটিয়াভাবে করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সেখানে চলে এসেছে বিএনপি। শুধু দল বদলেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি,”— উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো বদলালেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত না থাকলে সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। এটি শুধু একটি দলের সমস্যা নয়—চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করতে হবে।”
রওনক হোসেন উল্লেখ করেন, নতুন সরকার গঠনের সময় তিনি বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন এবং প্রফেসর ইউনুস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি বড় রকমের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই প্রত্যাশা হতাশায় রূপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, “দেশ চালানো একটি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও চালানোর মতো নয়। এতে প্রতিবেশী দেশসহ বহু দিক বিবেচনায় রেখে অত্যন্ত সতর্কভাবে এগোতে হয়। কিন্তু এখন দেশের মৌলিক প্রয়োজনের চেয়ে রাজনৈতিক কৌশল বা ক্ষণস্থায়ী লাভ বড় হয়ে উঠছে, যা দেশের জন্য কাম্য নয়।”
আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিক মাসুদ কামালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কাজী রওনক বলেন, “আমি জানি না এটি পাতানো কি না। তবে এটি খুব স্বতঃস্ফূর্ত বলে মনে হয়নি। মনে হয়েছে এর পেছনে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সমঝোতা ছিল।”
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যদি ‘মব জাস্টিস’কে উৎসাহ দেওয়া হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা অপরিহার্য।”
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=f1XqLxfHmL4
এম.কে.