
এক মৌসুম পর ইতালিয়ান লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার দ্য ব্লুজদের
আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা দিয়েগো ম্যারাডোনার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে দুইবার সিরি’আ শিরোপা ঘরে তুলেছিল নাপোলি। এরপর ৩৩ বছর পর ২০২২-২৩ মৌসুমে দারুণ লড়াই করে তৃতীয় শিরোপা জিতে ক্লাবটি। মাঝে এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ইতালির শীর্ষ লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে ম্যারাডোনার স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব।
দুই দল যখন নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে, তখন তাদের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ১। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর কোনো সুযোগ ছিল না কারোরই। নাপোলি জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। সে ক্ষেত্রে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে মিলানকে।
মৌসুমের প্রথমদিকে নাপোলি, আতালান্তা ও ইন্টার মিলান নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করে। দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে এগিয়ে ছিল আতালান্তা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে আতালান্তা। শেষ পর্যায়ে লড়াইটা জমে উঠে ইন্টার মিলান ও নাপোলির মধ্যে। দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধানও ছিল সামান্য।
কোমোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে ইন্টার, কিন্তু জয় পেয়েছে নাপোলিও। নেপলসের দিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে কালিয়ারির বিপক্ষে নাপোলিও জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। ফলে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ওঠে তাদের হাতেই। ৩৮ ম্যাচ শেষে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নাপোলি। সমান ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে লিগ শেষ করেছে ইন্টার।
নাপোলি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই গ্যালারিতে উল্লাসে মেতে ওঠে সমর্থকরা। আলোর ঝলকানিতে উদ্ভাসিত হয় নেপলস শহর। মাঠে উদ্যাপন করেছেন খেলোয়াড়রা আর মাঠের বাইরে শহরজুড়ে আনন্দ করেছেন সমর্থকরা। তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয় শিরোপা জয় নিশ্চিতভাবে নাপোলির জন্য বিশেষ কিছু, যা বিশেষ হয়েছে নাপোলির কোচ আন্তনিও কন্তের জন্যও। প্রথম কোচ হিসেবে আলাদা তিনটি ক্লাবের হয়ে ইতালিয়ান শীর্ষ লিগের শিরোপা জিতলেন তিনি। ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে কন্তে জুভেন্টাসের হয়ে শিরোপা জিতেছেন। এরপর ২০২০-২১ সালে ইন্টার মিলান এবং চলতি মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতলেন নাপোলির হয়ে।
পাশাপাশি এই মৌসুমে নাপোলির লিগ জেতার পথে নিজেকে যেন নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন রোমেলু লুকাকু। নাপোলির হয়ে মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৪ গোল করেছেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। অ্যাসিস্ট করেছেন ১০টি গোলে। নাপোলির লিগ জয়ের আরেক নায়ক স্কট ম্যাকটমিনে। তার গোলসংখ্যা ১২ এবং অ্যাসিস্ট ৬টি। পাশাপাশি সিরি’আ-তে মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। মৌসুমজুড়ে দারুণ খেলা লুকাকু ও ম্যাকটমিনে এই ম্যাচে দলের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। দুজনেই দুটি করে গোল করেছেন।