
বৃহস্পতিবার ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দল
ছেলে কিংবা মেয়েদের যে কোনো অনূর্ধ্ব পর্যায়ের আসরেই বাংলাদেশ হট ফেভারিট। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব দলগুলো ধারাবাহিকভাবে তাক লাগানো সাফল্য পাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট ধরে রাখার মিশন শুরু করছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শুরু হচ্ছে সপ্তম আসর। যেখানে উদ্বেধানী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে বাংলার যুবাদের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ।
আসরে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ‘এ’ গ্রুপে। গ্রুপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ ভুটান। আর ‘বি’ গ্রুপে আছে স্বাগতিক ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। আসরে পাকিস্তান অংশগ্রহণ করছে না। পাক-ভারত বৈরিতায় ক্রীড়াঙ্গনেও প্রভাব পড়বে স্বাভাবিকভাবে। চলমান যুদ্ধের মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে ভারতের একটি অন্যতম বড় ক্রীড়া আয়োজন। তবে সাফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
অরুণাচলে পৌঁছে বুধবার প্রথম অনুশীলন করে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবারও অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে যুবারা। খেলোয়াড় ও কোচ জয় দিয়ে আসর শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। গত বছর অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার আসরটি হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সীদের নিয়ে।
বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে ভিন্নতা এলেও বাংলাদেশের লক্ষ্য অভিন্ন। যুবাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ভালো কিছু নিয়ে দেশে ফেরার আশাবাদ। তিনি বলেন, লম্বা ভ্রমণ শেষে আমরা এখানে (অরুণাচল) পৌঁছেছি। এরপর অনুশীলন করেছে ছেলেরা। সবাই ভালো আর চনমনে আছে। যদি ছেলেরা তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে, তাহলে আশা করি এখান থেকে আমরা ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারব।
কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের নারী বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অনেক সাফল্য রয়েছে। এবারই প্রথম ছেলে দল নিয়ে সাফে গেছেন। গত বছর বাংলাদেশ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ নিয়ে ছোটন বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমি সব সময় শৃঙ্খলার দিকে নজর দেই। এই ছেলেরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ছিল। আমার কাজ করতে কোনো সমস্যা হয়নি।
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আশিকুর রহমান বলেন, আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল। আমরা প্রথম ম্যাচ মালদ্বীপের বিপক্ষে জিততে চাই। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করে ফাইনালে যাব। পাক-ভারত যুদ্ধ চলমান থাকলেও এর রেশ অরুণাচলে পড়েনি। তাই বাফুফে খুব বেশি চিন্তিত নয়। এরপরও ফেডারেশন যুব দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সার্বক্ষণিক। এই বিষয়ে ফেডারেশনের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, এটা সাফের টুর্নামেন্ট।
সাফ আছে, এআইএফএফ (অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন) আছে। কোনো সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে স্বাগতিক দেশ। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি তাদের সঙ্গে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি বা ইস্যু হয়নি। আমরা আশা করি কোনো রকম কিছু হবে না।