
ছবি: সংগৃহীত
মানুষের পুরুষত্ব নির্ধারণকারী Y ক্রোমোজোম ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে, যা ভবিষ্যতে মানবজাতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলতে পারে— যদি না কোনো নতুন লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন বিকশিত হয়। তবে আশার কথা, গবেষণায় কিছু জাতের ইঁদুর ইতোমধ্যেই তাদের Y ক্রোমোজোম হারিয়েছে এবং বিকল্প উপায়ে টিকে আছে।
Y ক্রোমোজোমের গুরুত্বপূর্ণ SRY জিন, যা পুরুষ ভ্রূণের বিকাশ শুরু করে, তা ধীরে ধীরে জিন হারাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, তবে পরবর্তী ১ কোটি ১০ লাখ বছরে এর শেষ ৫৫টি জিনও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
তবে, আশার আলো দেখিয়েছে ইস্টার্ন ইউরোপের মোল ভোল এবং জাপানের স্পাইনি র্যাট। এই ইঁদুর প্রজাতিগুলো Y ক্রোমোজোম হারিয়েও টিকে আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্পাইনি র্যাটের ক্ষেত্রে ৩ নম্বর ক্রোমোজোমের SOX9 এর কাছাকাছি একটি নতুন লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন বিকশিত হয়েছে, যা SRY জিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
এ থেকেই বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যেও এমন কোনো নতুন লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন বিকশিত হতে পারে। তবে এই বিবর্তন ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে।
যদি পৃথক মানবগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গ নির্ধারণকারী ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তবে তা প্রজনন বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে বিভিন্ন নতুন মানব প্রজাতির উদ্ভব হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ১১ মিলিয়ন বছর পর পৃথিবীতে হয়তো মানুষের আর কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অথবা থাকবে একাধিক নতুন মানব প্রজাতি, যাদের প্রত্যেকের লিঙ্গ নির্ধারণের পদ্ধতিও আলাদা হবে!
সূত্র: দ্য কনভার্সেশন
এম.কে.