
বিড়াল শুধু একটি পোষা প্রাণী নয়, ইসলামে এটি করুণা, মমতা ও মানবিকতার প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত। ইসলামের বিভিন্ন হাদিস ও সাহাবাদের জীবনী বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, বিড়াল পালনের প্রতি ইসলাম এক অনন্য সহানুভূতিশীল ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিড়ালের প্রতি অত্যন্ত কোমল ও সদয় আচরণ করতেন। হাদিসে উল্লেখ আছে, তিনি নিজ হাতে বিড়ালকে আদর করতেন এবং তার জায়নামাজের একাংশে ঘুমিয়ে থাকা বিড়ালের কারণে কাপড়ের অংশ কেটে দিয়েছিলেন যাতে বিড়াল না জাগে।
বিড়ালের প্রতি নিষ্ঠুরতা: গুনাহর কাজ
সহীহ হাদিসে বর্ণিত, এক নারী একটি বিড়ালকে খেতে না দিয়ে ও মুক্তি না দিয়ে বন্দী করে রাখার অপরাধে জাহান্নামে গেছেন। (সহীহ বুখারী: ২৩৬৫, সহীহ মুসলিম: ২২৪২) — এই হাদিস ইসলামে পশু-পাখির প্রতি সদয় আচরণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করে তোলে।
আবু হুরায়রার বিড়াল-ভালবাসা
বিশিষ্ট সাহাবি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর নামের অর্থই হলো "বিড়ালের বাবা"। তিনি সবসময় একটি ছোট বিড়ালছানা সঙ্গে রাখতেন, যা থেকে তাঁর এই নামকরণ হয়েছে। রাসুল (সা.) তাঁর এই ভালোবাসাকে সমর্থন করেছেন।
বিড়াল অপবিত্র নয়
বিখ্যাত হাদিসে বলা হয়েছে:
"বিড়াল অপবিত্র নয়। তারা তোমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করে।" (সুনান আবু দাউদ: ৭৫, তিরমিজি: ৯২)
এ থেকে বোঝা যায়, বিড়াল যদি পানি পান করে তাহলে সেই পানি অপবিত্র হয় না, বরং তা ব্যবহার করা ইসলামসম্মত।
যত্ন ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য
তবে ইসলাম বলেছে, কোনো প্রাণী পালনে দায়িত্বশীল হতে হবে। খাওয়ানো, পরিষ্কার রাখা, চিকিৎসা করানো এবং কষ্ট না দেওয়া—এসব ইসলামের মৌলিক নির্দেশনা। এর ব্যত্যয় ঘটলে তা গুনাহর কাজ বলে বিবেচিত হয়।
Jahan