
ছবি: সংগৃহীত
আরবি ১২ মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মাসের নাম রমজান। এই মাসে মুসলিমদের উপর ফরজ করা হয়েছে এক মাসের রোজা। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনকে বলা হয় রহমতের ১০ দিন। এরপর থেকে শুরু হয় মাগফিরাতের ১০ দিন এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের।
রমজানের এই দিনগুলোতে কোনো প্রকার ত্রুটি থেকে বেঁচে থাকা বাঞ্ছনীয়। মহানবী (সা:) হাদিসে এ বিষয়ে ইরশাদ করেন। সুনানে নাসাঈ ও ইবনে খুজাইমার যৌথ উল্লেখে এসেছে, হযরত আবু উবায়দা (রা:) থেকে বর্ণিত, "সাওম ঢাল স্বরুপ, যতক্ষণ না সে তা ভেঙে ফেলে, আর তা হলো মিথ্যা ও গীবত।" (সুনানে নাসাঈ ২২৩৫)
হাদিস অনুযায়ী রমজান শুরুর দিন থেকে প্রথম রোজা রাখার সাথে সাথে পেছনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। হাদিসের ভাষায়, হয়রত আবু সাইদ খুদরী (রা:) বলেন, মহানবী (সা:) ইরশাদ করেন, "যখন কেউ রমজানের প্রথম দিন রোজা রাখে, তখন তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত, মুসলিম শরীফে এক হাদিসে বলা হয়েছে, যারা চাঁদের প্রথম তারিখ থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজা রাখছে, তারা সেদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তাদের মাতা তাদের নিষ্পাপরূপে জন্ম দিয়েছিলেন।" অর্থাৎ, মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেরকম নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, রমজানের ৩০ দিন রোজা পালন করলে সে তেমনই নিষ্কলুষ হয়ে যায়।
মায়মুনা