
ইসলামে ফরজ নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এগুলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও পুণ্য অর্জনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। নিচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজের বর্ণনা দেওয়া হলো:
১. তাহাজ্জুদ নামাজ
- সময়: রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
- ফজিলত: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, "তাহাজ্জুদের নামাজ আল্লাহর প্রিয় ইবাদত।" (সহীহ মুসলিম)
২. ইশরাক নামাজ
- সময়: সূর্যোদয়ের ১৫-২০ মিনিট পর
- রাকাত: ২ বা ৪ রাকাত
- ফজিলত: এই নামাজ পড়লে ওমরাহ করার সমান সওয়াব পাওয়া যায় (তিরমিজি)।
৩. চাশত নামাজ (দুহা নামাজ)
- সময়: সকাল ১০টা থেকে দুপুরের আগে
- রাকাত: ২, ৪, ৬ বা ৮ রাকাত
- ফজিলত: রাসুল (স.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন দুহা নামাজ আদায় করবে, তার গুনাহ মাফ হবে।” (মুসলিম)
৪. আওয়াবিন নামাজ
- সময়: মাগরিবের পর
- রাকাত: ৬ রাকাত
- ফজিলত: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, "মাগরিবের পর ৬ রাকাত আওয়াবিন নামাজ পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।" (তিরমিজি)
৫. তাহিয়্যাতুল মসজিদ
- সময়: মসজিদে প্রবেশের পর
- রাকাত: ২ রাকাত
- ফজিলত: এটি আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি বিশেষ ইবাদত।
৬. সালাতুত তওবা
- সময়: যখনই গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হবেন
- রাকাত: ২ রাকাত
- ফজিলত: এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন।
৭. সালাতুল হাজত
- সময়: যখন কোনো বিশেষ প্রয়োজন বা দুশ্চিন্তা থাকে
- রাকাত: ২ রাকাত
- ফজিলত: এই নামাজ আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার একটি উপায়।
এই নফল নামাজগুলো নিয়মিত আদায় করলে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং জান্নাত লাভের সুযোগ বাড়ে।
রাজু