
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, "এখন সময় একতাবদ্ধ হওয়ার, বিভাজনের নয়। যারা বছরের পর বছর আমাদের পাশে থেকেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতেই হবে। কোনো সুবিধাবাদী বা সুযোগসন্ধানীদের দিয়ে সংগঠন চলতে পারে না।"
শনিবার (২৮ জুন) যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "রাজনীতিতে কর্মীর চেয়ে আপন কেউ হতে পারে না। যারা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে জানে না, তারা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হতে পারে না। নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু তা যেন বিভেদে রূপ না নেয়। বিএনপিতে প্রার্থী খুঁজে বের করতে হয় না—এখানে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে দল আবারও ক্ষমতায় যেতে পারে।"
অধ্যাপক নার্গিস বেগম দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনোদের নবায়নের কাজটি আন্তরিকভাবে করতে হবে। না হলে অযোগ্যরা দলে ঢুকে পড়বে, যার ফলে দলের ক্ষতি হবে। এই সুযোগটা কাউকে দেওয়া যাবে না।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। বক্তব্য দেন জেলা সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব, সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, শহিদুল বারী রবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু। এ সময় বিএনপির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক নার্গিস বেগম নিজেই সদস্যপদ নবায়ন করে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এদিকে, জেলা সভাপতি অ্যাড. সাবেরুল হক সাবু বলেন, "গত ২০ বছরে নতুন ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন তারা উৎসুক প্রথমবারের মতো ভোট দিতে। তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে তারা অন্য দলে চলে যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনো দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী বা দাগি আসামি এই সুযোগে দলে না ঢুকে পড়ে। যারা বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে আস্থাশীল, তারাই এই সদস্যপদ পাবেন।"
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্টের ঘটনার পর কিছু নেতা-কর্মীর আচরণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। তাই আমাদের লক্ষ্য হবে আদর্শিকভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনাধারীদের সদস্য বানানো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যশোরে এক লাখ নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।"
আসিফ