বিএনপি দ্রুত নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে চায়: এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “জনগণই বিএনপির রাজনীতির গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি। এজন্যই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনে গিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে চায়। যারা নিজেদের রাজনীতির গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি নিয়ে সন্দিহান, তারাই জনগণের ভোটে ভয় পায়।”

তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল তাদের পরিণতি আঁচ করতে পেরে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। বিএনপির বিরুদ্ধে লাগামহীন অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজেলা ওলামা দলের এবং বিকেলে শ্রমিক দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হালুয়াঘাট পৌর শহরের হোটেল ইমেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “এসব দল প্রথমে নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চেয়েছিল। পরে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অযাচিত প্রভাব বিস্তার করে রাজনৈতিক ডেডলক সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে রোজার আগেই নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ায় এখন নতুন বিতর্ক তৈরি করে তারা চাপ সৃষ্টি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ ভোট দিতে চায় সরাসরি দল, মার্কা ও প্রার্থী দেখে। তারা কোনো আনুপাতিক হারে সিট বণ্টনের নির্বাচন চায় না। জনগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়, স্থানীয় সরকার নয়। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায়, এসব ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন নয়।”

বিএনপি নেতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যারা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের প্রহসনের অংশ ছিল, তারাই আজ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপির কারণে রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়া একটি রাজনৈতিক দল এখন বিএনপিকে ল্যাং মারতে ব্যস্ত।”

তিনি আলেম-ওলামা ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

সভায় ওলামা দলের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আকবর আলী। শ্রমিক দলের সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা সভাপতি আবদুল গনি।

এছাড়াও ওলামা দলের জেলা আহ্বায়ক মাওলানা মাহবুব হোসেন, সদস্য সচিব মাওলানা শামীম হাসান এবং শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বক্তব্য রাখেন।