ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাম্য কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার?

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ১৬ মে ২০২৫; আপডেট: ১৫:১৪, ১৬ মে ২০২৫

সাম্য কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার?

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ছাত্ররাজনীতি। নিহত সাম্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং বিভিন্ন সময়কার ভূমিকার প্রেক্ষিতে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলেই মনে করছেন ছাত্রদল ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই মৃত্যুতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের আলামত রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “সাম্য শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধ করার আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। সে এ নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিল। এই পোস্টই কি তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল? এটি একটি প্রশ্ন এবং আমরা এর তদন্ত চাই।” 

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং সাবেক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, “সাম্য গত ৫ই আগস্টের আগে এমন কোন মুভমেন্ট ছিল না যেটার মধ্যে সে সামনে ছিল না। সাম্য বিডিআর এবং পুলিশের রাইফেলের সামনেও দাঁড়িয়েছে, মুখোমুখি হয়েছে, ভয় পায়নি। এ ধরনের সাহসী ছাত্রনেতা মৃত্যুবরণ করেছে স্ট্যাব করে—এটি কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

তিনি আরও বলেন, “তার মৃত্যুর পরে কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করেছে। এমন বক্তব্য দিয়েছে যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা হতে পারে। একটা ছেলেকে যেভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, সেভাবে তার মৃত্যুর কথা না। তাকে স্টেপ করে মারা হয়েছে। এবং তার মধ্যে আমরা রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছি ।”

একদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে অন্যদিকে আবার ছাত্রদলের ভিসি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি চাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ভিসি যে আচরণটা করেছে, তিনি হৃদয়ে যেটা লালন করেন সেখান থেকেই সে উচ্চারণটা করেছে। ভিসি’র সামনে সাম্যে হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে  গেলে উনি নির্লিপ্ত আচরণ করেন।'

তিনি আরও বলেন, একজন ভিসি তুই তুই করে শব্দটা উচ্চারণ ছাত্রের সাথে করতেই পারে না। আমরা আমাদের সন্তানদের সাথে এই শব্দটা উচ্চারণ করি না । উনি কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিনা আমার সন্দেহ । 

সাম্য শুধু একজন ছাত্রনেতা ছিল না—সে ছিল একটি আদর্শের প্রতিনিধি। তাকে এভাবে হত্যা করে একটি আদর্শকেই ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন সাধারণ ছাত্ররা । 

সাংগঠনিকভাবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে দাবি জানানো হয়েছে যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

 

সা/ই

আরো পড়ুন  

×