
ছবি: সংগৃহীত
তীব্র খরার কারণে বিশাল কাপ্তাই লেকে পানি শুকিয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার ফলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের এমমাত্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিদ্যুাৎ উৎপাদন একেবারে তলানীতে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট হতে শুধু মাত্র একটি ইউনিট দিয়ে বর্তমানে কোন রকমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।অন্যদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় লেকের পানির স্তর দিন দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এমন পরিস্থিতিতে পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন যে কোন সময় একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পরে।
বুধবার কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই কেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট একযোগে সচল থাকলে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। কিন্তু পানি স্বল্পতায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে শুধু মাত্র ১নং ইউনিট দিয়ে ৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। সবগুলো ইউনিট রেশনিং করে চালু রাখা হয়েছে। এক সঙ্গে সব ইউনিট চালু করা হলে হ্রদের পানি শূন্য হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে বর্তমানে হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ৭৭ দশমিক ৬১ মিনস সি লেভেল (এমএসএল), কিন্তু রুলকার্ভ অনুযায়ী এই সময় পানি থাকার কথা ৭৯ দশমিক ৫৩ এমএসএল। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে আগামীতে বৃষ্টিপাত হলে হ্রদের পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়ে যাবে।
এদিকে, কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে অন্যদিকে লেকের ওপর নির্ভরশীল মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে লেকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাঘাইছড়ি , লংগদু ,বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, উপজেলার নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লেকের বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা ছোট ছোট পাহাড়ের কারণে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি লেকের বেশ কিছু অংশে পলি জমায় দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। একই সঙ্গে ৭২৫ বর্গ কিঃ মিঃ বিশাল লেকে মৎস্য উৎপাদনে সংকট তেরি হয়েছে।
সাব্বির