ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাসর শেষে স্বামীর টাকা লুট করে পালিয়েছে নববধূ

মাহফুজ রহমান, লালমনিরহাট 

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ১৭ মে ২০২৫

বাসর শেষে স্বামীর টাকা লুট করে পালিয়েছে নববধূ

ছবিঃ সংগৃহীত

রাতে বিয়ে করে সকাল হতেই স্বামীর বাড়ির নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়েছে নববধু। এমন ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্বামী। 

শুক্রবার (১৬ মে) রাতে এমন ঘটনায় লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্বামী হোসেন আলী।

হোসেন আলী আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের খিজির মামুদের ছেলে। 

অভিযুক্ত নববধু রুমানা খাতুন (৩০) একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার এনছার আলীর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,হোসেন আলী এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলাদা হয়ে যান। এসময় স্থানীয় ঘটক জোবাইদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বিয়ে দেয়ার কথা বলে গত বুধবার হোসেন আলীকে ডেকে নিয়ে রুমানা আক্তারকে দেখালে হোসেন আলী তাকে বিবাহ করতে রাজি হয়। পরে তাদেরকে লালমনিরহাট সদর এলাকার কাজী আমজাদ হোসেনের শাহআলী বাস কাউন্টারের পিছনে নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ে এক লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। 

বিয়ের পর নববধু রুমানাকে নিয়ে রাতে বাড়িতে যান হোসেন আলী। পরদিন সকালে নববধূ তার বাবা অসুস্থতার কথা বলে গোপনে স্বামী হোসেন আলীর ঘরে থাকা তামাক বিক্রির ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। তবে সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন ঘরে গচ্ছিত থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার খোওয়া গেছে। 

অবশেষে বর হোসেন আলী বুঝতে পারেন টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতেই এ চোর  সিন্ডিকেট বিয়ের নাটক তৈরী করেছে। কাজিসহ ঘটকরা একে অপরের যোগসাজসে পুরো চক্রটি তা ভাগবাটোয়ারা করেছেন। 

চোরাই টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করতে শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ঘটক, নিকাহ রেজিস্টার ও নববধূ রুমানাসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে হোসেন আলী জানান, ঘটকরা জানতো বাড়িতে তামাক বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিল। এসব চুরি করতে তারা বিয়ের নাটক তৈরী করে আমার বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে রুমানাকে দিয়ে নাটক সাজিয়েছে। 

এ ব্যাপারে নববধূ রুমানা খাতুনের ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রুমানাসহ এ চক্রটি প্রতারণার সাথে জড়িত। তবে লালমনিরহাট পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, রুমানা ও হোসেন আলী নামে কারও বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয়নি। 

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী আকবর বলেন, স্বামীর বাড়ির নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়েছে রুমানা নামে এক নববধূ। এমন ঘটনায় স্বামী হোসেন আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন।

ইমরান

×