ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

’দিল্লি, পিন্ডি বা অন্য বিদেশি প্রভুর রাজনীতি চলবে না’: আরিফুল তুহিন

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ১৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১২:৫০, ১৪ মে ২০২৫

’দিল্লি, পিন্ডি বা অন্য বিদেশি প্রভুর রাজনীতি চলবে না’: আরিফুল তুহিন

ছবি :সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং বিদেশি রাজনীতির ছায়া থেকে মুক্ত একটি জাতীয় রাজনীতির পক্ষে সাফ কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুল রহমান তুহিন। চলমান রাজনৈতিক বিতর্কে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে দিল্লির রাজনীতি চলবে না, পিন্ডির রাজনীতি চলবে না, কিংবা অন্য কোনো বিদেশি প্রভুর রাজনীতিও চলবে না।”

এর আগে  যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও তার ফেসবুক পেইজে লিখেছিলেন, 'দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়। ওয়াশিংটন কিংবা মস্কোর দাসত্ব করতেও নয়। '

সম্প্রতি সময়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে তৈরি হওয়া মতপার্থক্যের প্রেক্ষাপটে আবারও উঠে আসে শাসনব্যবস্থার বিষয়টি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করে তাকে ছুঁড়ে ফেলার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুল রহমান তুহিন বলেন, “জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করে তাকে ছুঁড়ে ফেলা—এই বিষয়টা আমার কাছে মনে হয়েছে এক প্রকার প্রোপাগান্ডার অংশ। আমরা কিন্তু শুরু থেকেই বলে আসছি, জুলাইয়ের যে অভ্যুত্থানটা হয়েছে সেই অভ্যুত্থানে সবগুলো ছাত্র সংগঠনই ছিল এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকায় আমাদের পাশে ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির।” 

তিনি আরও বলেন, “ওরা পাকিস্তানপন্থী রাজনীতি করেন বা এরকম কিছু আমার জানা নেই। তবে আমরা একটা কথা একবারে সবসময় বলি—বাংলাদেশের রাজনীতি কোনো বিদেশি প্রভুর রাজনৈতিক এজেন্ডায় চলবে না। দিল্লি, পিন্ডি বা অন্য কোনো শক্তির নির্দেশনায় আমরা রাজনীতি করব না।”

তিনি আরও বলেন, “৭১ এবং ২৪—এই দুই রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্ম ও পুনর্জন্ম ঘটেছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ছিল একটি দীর্ঘ ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের ফল, আর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আমরা স্বাধীনতা পাই। এরপর আবার ২৪-এর অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন রাজনৈতিক রূপান্তর দেখি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।” 

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটা পক্ষকে বারবার অভিযুক্ত করা যথাযথ নয়। জামায়াতে ইসলামিরও উচিত, তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানানো—তারা মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে দেখে।”

অন্যদিকে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, “একাত্তরের প্রশ্নে রাজনৈতিক শুদ্ধতার যে আলোচনা উঠেছে, সেটির মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ একাত্তরের চেতনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, আবার জামায়াতও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ধোঁয়াশায় রেখেছে। এজন্যই এই ইস্যু বারবার ফিরে আসে।”

 

 

সা/ই

আরো পড়ুন  

×