
দেশজুড়ে গরমের তীব্রতা যখন রীতিমতো অসহনীয়, তখন তার প্রভাব পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে হজমপ্রক্রিয়ায়। অতিরিক্ত গরমে অনেকেই ভোগেন গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের ব্যথার মতো সমস্যায়। তবে কিছু সহজলভ্য খাবার আপনাকে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, হজমক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীরকে সজীব রাখতে নিচের ৬টি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করতেও ভুলবেন না।
১. ডাবের পানি
খাদ্য না হলেও এই প্রাকৃতিক পানীয়টি গ্রীষ্মকালে শরীরের জন্য এক অনন্য উপকারী উপাদান। প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে যে ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায়, তা সহজেই পূরণ করে ডাবের পানি। এটি হজমে সহায়তা করে ও শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড। গরমের দিনে প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি হতে পারে আপনার সুস্থ থাকার সহজ চাবিকাঠি।
২. আদা
‘সুপার স্পাইস’ নামে পরিচিত আদা হজমে সহায়ক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর। এটি গ্রীষ্মে সাধারণভাবে দেখা দেওয়া বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি দূর করতে কার্যকর। স্যুপ, চা বা পানীয়তে আদা যোগ করে সহজেই এর উপকার পেতে পারেন।
৩. কলা
সারা বছর খাওয়া যায় এমন একটি সহজলভ্য ফল কলা, যা পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। গরমের সময় শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, আর কলা সেই ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। তাছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার, যা মলত্যাগ নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে ও হজমে সহায়তা করে।
৪. শসা
জলসমৃদ্ধ শসা শুধু শরীর ঠান্ডা রাখেই না, বরং হজমেও সহায়তা করে। এতে রয়েছে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করে। গরমে নিয়মিত শসা খাওয়া পেট ঠান্ডা রাখে ও হাইড্রেশন বজায় রাখে।
৫. টক দই
প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ টক দই হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি হজমের সহায়ক এবং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে দারুণ কার্যকর। বাজারজাত মিষ্টি বা ফ্লেভারযুক্ত দই এড়িয়ে চলুন, বরং ঘরে তৈরি টক দই খাওয়াই ভালো।
৬. পুদিনা
এই সবুজ পাতাজাতীয় উপাদানটিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ঠান্ডা ও হজমে সহায়ক গুণ। চিকিৎসকরা বলেন, পুদিনা বদহজম, গ্যাস ও পেটফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। সালাদ, পানীয় বা স্মুদি যেকোনো কিছুতে টাটকা পুদিনা পাতা যোগ করে উপকার পেতে পারেন।
হিটওয়েভে শুধু তাপমাত্রা নয়, আপনার পেটও চাপে পড়ে। তাই শরীর ও হজম সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন, পর্যাপ্ত পানি খান এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা ঝাল খাবার থেকে বিরত থাকুন। একটু যত্নেই গ্রীষ্মকাল হোক সুস্থ ও স্বস্তির!
সূত্র:https://tinyurl.com/494zetzs
আফরোজা