
ছবি: সংগৃহীত
২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জালিয়াতিপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটার বিহীন দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। মামলায় বাদি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর। তাকে সহায়তা করেন আরও কয়েকজন আইনজীবী। সেই সাথে আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করে আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকরা এ বিষয়টি জানতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল কাউয়ুম রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, এ ধরনের পিটিশন দায়ের হয়েছে কিনা তা আমাদের নলেজে নেই। বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া রাত সোয়া ১০টায় জণকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে মামলার আবেদনের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আশিক উল হককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে ৯ জনকে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। অনিয়ম ও কারচুপির ঐসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না এবং বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফা ভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করা হয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে ষড়যন্ত্র করে ভোটারবিহীন ড্যামি নির্বাচন করেছেন আসামিরা। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছি। আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি জানার সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করেছেন। সেই সাথে আগামী ৩ জুন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
খলিলুর/রবিউল