ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের ওপরে ‘খবরদারি, মুরব্বিয়ানা’ পরিহার করতে হবে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কটা হতে হবে কান্ট্রি টু কান্ট্রি। কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়। সমমর্যাদার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলে সেটা উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দীর্ঘ সময় সুইডেন থেকে দেশে এসে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গয়েশ্বর রায় গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ঢাকা সফর প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, মুরুব্বিয়ানা অথবা আমাদের ওপরে খবরদারি, এটা ভারতকে পরিহার করতে হবে। এতদিন দেখা গেছে, দিল্লির সংকেত ছাড়া একটা ব্যাংকের এমডিও নিয়োগ হয়নি। কে কোথায় বিচারপতি হবেন, কে কোথায় বড় বড় পদে থাকবেন, কে মন্ত্রী হবেন- সেটাও তারা (ভারত) সিদ্ধান্ত দিত। আমরা মনে করি, এগুলো শুধু নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রবণতা, সেটাও ভারতকে পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে, কাকে কোথায় বসাতে হবে। এর জন্য অন্য দেশের পরামর্শের দরকার নেই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনো স্বাধীন দেশের জনগণের কাম্য নয়।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নতুন সম্পর্কের কথা বলেছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, পুরোনো সম্পর্কের মধ্যে কোনো না কোনো ফাঁক-ফোকর ছিল। একজন ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর তারা বাংলাদেশের ভোটাধিকার বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সুতরাং আজ যদি এই কথা উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে তারা নিশ্চয়ই সঠিক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে এবং অব্যাহত রাখবে।
আশিকুর রহমান