ওবায়দুল কাদের
স্থিতিশীল সরকার থাকায় গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচিত সরকারকে হটাতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলছে। আজ বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুধু দেশে নয়, বাইরেও অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যার রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। প্রকাশ্যে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৫ বছর স্থিতিশীল সরকার ছিল বলে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্রে স্থিতিশীলতা ছিল বলে এমন উন্নয়ন হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে নির্বাচনবিরোধী কাজ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার সূচনা হয়। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোস্তাক-জিয়া। বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আছে। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যে দলটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তার আগে খালেদা জিয়ার অধীনে ছিল নির্বাচন কমিশন। গু-া দিয়ে নির্বাচন করা হতো। ভুয়া ভোটার দিয়ে ভুয়া নির্বাচন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র দল, যেটি নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ করেছে। উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, একই স্থানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশী-বিদেশী চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে। শুধু দেশে নয়, বাইরেও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে এবং নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি।
আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকা এবং ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও অবিরাম আমাদের নির্বাচনের বিরুদ্ধে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী একটি চক্র অপপ্রচার-মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।