
আসাদুজ্জামান পরশ শিকদার
বিদেশি পিস্তল হাতে মৎস্যজীবি লীগ নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ঘটনায় জেলা
মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার(২৯ এপ্রিল) দুপুরে এক লিখিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
পরশ শিকদারের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে। পরশ শিকদারের বরাবরে প্রেরিত জেলা মৎস্যজীবি লীগের প্যাডে লিখিত ওই পত্রে বলা হয়, আগ্নেয়াস্ত্র সহ আপনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাই আপনাকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।
সংগঠন সুত্রে জানা গেছে, পরশ শিকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা মৎস্যজীবি লীগ প্রথমে তাকে বহিষ্কারাদেশ সহ কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও পরবর্তীতে তাকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা মৎস্যজীবি লীগের সদস্য সচিব মো. ফরিদ মিয়া বলেন, প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে সরাসরি বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, যেহেতু তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে তাই দলীয় নেতৃবৃন্দ এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আর আমরা নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে পরশ শিকদারের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোন চিঠি আমি হাতে পাইনি।
বৃহস্পতিবার আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারের দুটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, তিনি একটি
বিদেশি পিস্তল হাতে প্রদর্শন করছেন। তার পেছনে তাকের উপরে আরো কয়েকটি রাইফেল সাজিয়ে রাখা। তবে এসব ছবি পাঁচ বছর আগে ঢাকার পল্টন এলাকার একটি বন্দুক বিক্রেতার দোকান থেকে তোলা বলে পরশ জানান। এক বন্ধু তাকে এয়ারগান কেনার জন্য ওই বন্দুকের দোকানে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর সেই দোকানে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা একটি বিদেশি পিস্তল হাতে দিয়ে তার ওই বন্ধু মোবাইল ফোন ক্যামেরায় ছবিটি তুলে।
অতি সম্প্রতি পরশ শিকদার সহ বোয়ালমারী উপজেলায় দুই জন ছাত্রলীগ নেতা ও আরেকজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের অস্ত্রসহ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় অনেকের মাঝে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
এসআর