
ছবি: সংগৃহীত
বাঙালি জাতিবাদ একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যা অবাঙালি জাতিসত্তা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে—এমন মন্তব্য করেছেন লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এই রাষ্ট্র ‘বাঙালি’ জাতিসত্তা চাপিয়ে দিয়ে ভিন্ন জাতির অস্তিত্ব মুছে দিতে চেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গুম, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ ঘটেছে।
তিনি দাবি করেন, বাঙালি জাতিবাদ ভাষা ও সংস্কৃতিকে ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও নির্মূলের রাজনীতি করেছে, যা হিন্দুত্ববাদী দিল্লির রাজনৈতিক এজেন্ডারই বাস্তবায়ন। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশে ধর্মভিত্তিক ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছে, যারা ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফরহাদ মজহার বলেন, এই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ নারীর দেহ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, অবাঙালি জাতিসত্তা এবং নাগরিকদের চিন্তার স্বাধীনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করছে। একইসঙ্গে তিনি সমালোচনা করেন যে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করে আসলে একটি ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে—যেখানে ইসলামকে দুনিয়াবিমুখ পরকালভিত্তিক ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়ে এর মূল রাজনৈতিক দর্শনকে কবর দেওয়া হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরা কি পাশ্চাত্যের তথাকথিত সার্বভৌম রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ইসলামের আলোকে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র কল্পনা করতে পারি না?” তাঁর মতে, ইসলাম একটি পরকালবাদী ধর্ম নয়; বরং এটি ইহজাগতিক সমস্যার সমাধান দিতে এসেছে।
সবশেষে তিনি বলেন, সেকুলার ও ধর্মভিত্তিক উভয় ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করতে পারলেই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। ইনশাল্লাহ।
এএইচএ