
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি ও রাস্তায় পড়ে আছে গাছপালা। ঝড়ের তীব্র বাতাসের গতিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও নানা স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সাড়ে ১০টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঝড়ে প্রায় ৫শতাধিক ঘরবাড়ি ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উপড়ে গেছে কয়েকশ বড়গাছ। ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, গম ও ধান বাদাম সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি গাছপালা পরে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে পুরো কালীগঞ্জ এলাকা।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া ঝড়ে মহাসড়কে গাছ পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিশেষ করে কাকিনা চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তুষভান্ডার এলাকার সোবহান মিয়া জানান, “রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে হালকা বাতাস শুরু হয়। এরপর হঠাৎ করেই প্রবল গতির ঝড় বয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আমার বাড়ির আশেপাশে ঘরের ছাউনি উড়ে যায় এবং গাছপালা উপড়ে পরে আছে।” ঝড়ে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ভোটমারী ও কাকিনা মদাতি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বিশেষ করে ভুট্টা ও পাট পাকা ধান ক্ষেতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসে গাছ হেলে পড়ছে। তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানীনগর গ্রামের কৃষক মফিজুল বলেন, “হঠাৎ করে হালকা বাতাস শুরু হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড়ে আমার পুরো বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এই ঘর মেরামতের জন্য সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।”
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা এসময় তিনি জানান, “তুষভান্ডার, মদাতী, কাকিনা ভোটমারীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু ঘরবাড়ি এবং উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। ঝড়ে কয়েকজন আহত হলেও নিহত কোন খবর পাওয়া যায়নি।”
মিরাজ খান