ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মোদি বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েছে, আতঙ্কে শুভেন্দু

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৫ মে ২০২৫; আপডেট: ১৫:৪৬, ১৫ মে ২০২৫

মোদি বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েছে, আতঙ্কে শুভেন্দু

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হচ্ছে। বিশেষ করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে—“বিজেপি হটাও, সংবিধান বাঁচাও”।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মোদি সরকারের অব্যবস্থাপনা, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বেকারত্ব, ব্যবসা ধ্বংস, ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনায় জড়িয়ে দেশটি ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কার্যত নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিক্ষোভকারীদের রোষে পড়েছেন বিজেপির অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি তার বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে তুমুল ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও। কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা শুভেন্দুর কুশপুতুল দাহ করেছে। অনেক জায়গায় তার গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শুভেন্দুর সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্যে শুধুমাত্র মুসলিম নয়, হিন্দু ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এক হিন্দু নারী নেত্রী শুভেন্দুর বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশীদের করাচি-লাহোরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলা মানে শুধু প্রতিবেশী দেশের অবমাননা নয়, বরং রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংসের ইন্ধন। হিন্দু-মুসলিমের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে শান্তি নষ্ট করছেন।”

অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতার জনতা। রিপাবলিক বাংলা টিভির সাংবাদিক ময়ূক রঞ্জন ঘোষকে কটাক্ষ করে তারা বলেন, “ও তো সাংবাদিক না, মাছবাজারের একজন মাছ বিক্রেতা। জনগণের কথা না বলে বিজেপির প্রচার চালানোই তার কাজ।”

সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে যেসব ব্যক্তি কথা বলছেন, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনকারীদের মতে, “মোদি সরকার যেন দেশের জনগণের বিরুদ্ধেই আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের। বরং আন্দোলনের আগুন এখন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ভারতজুড়ে।”

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=m4h8P14cwc8

নুসরাত

×