
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত ‘বৈশি^ক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা স্থিতিশীলতা এলেও মুদ্রাস্ফীতি এখনো একটি স্থায়ী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। কারণ বেশির ভাগ অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ এখনো মহামারির আগের স্তরের চেয়ে বেশি। উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এখনো উচ্চ খাদ্যমূল্যের চাপ মোকাবিলা করছে, যা ভূরাজনৈতিক বিভাজন, বাণিজ্য বাধা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরও বাড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সুপরিকল্পিত ও অভিযোজিত নীতিমালার সমন্বয় প্রয়োজন, যেখানে আর্থিক, রাজস্ব এবং সরবরাহপক্ষীয় পদক্ষেপগুলোকে একত্র করতে হবে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর বিরোধকে কেন্দ্র আবারও তিনদিনের এক যুদ্ধে জড়িয়েছে, যা আদতে সরাসরি যুদ্ধ নয়, যুদ্ধের একটি প্রস্তুতির ধাপ। হীন জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িক মানসিনকতা থেকে উদ্ভূত ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার প্রতিটি ধাপের প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক মূল্য ভারত-পাকিস্তানকে গুনতে হলেও, পরোক্ষ প্রভাব বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকেই বহন করতে হয়। সংঘাতময় কাশ্মীর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব ২৩৭৪ কিলোমিটার হলেও পুঁজিবাদী ও আর্থিকীকরণকৃত বিশ^ব্যবস্থায় কারণে অর্থনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশসহ অন্য দেশের ওপর পড়তে বাধ্য।
দুই দেশের যুদ্ধের অর্থনীতির এই ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের ওপর গিয়ে পড়বে। কারণ মুক্তবাজার বিশ^ব্যবস্থায় এককভাবে কোনো দেশ লাভ-ক্ষতি বহন করে না। তা ছাড়া বাংলাদেশের আমদানির বড় একটি অংশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশের বেশি ভারতে থেকে আসে, যা চীনের (২৫ শতাংশ) পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই গভীর অর্থনৈতিক সংযোগের অর্থ হলো ভারতের বাণিজ্যনীতি বা সরবরাহ শৃঙ্খলে অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব।
তৈরি পোশাক শিল্প : তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতটি মূলত ভারতের ওপর কাঁচামালের জন্য নির্ভরশীল, বিশেষ করে তুলা, সুতা এবং কাপড়ের ক্ষেত্রে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে এসব কাঁচামালের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা পোশাক শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যদিও চীন ও ভিয়েতনামের মতো বিকল্প উৎস রয়েছে কিন্তু খরচ ও পরিবহন সময় উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। ভারতের মতো প্রধান সরবরাহকারীর রপ্তানি ক্ষমতা বা অগ্রাধিকার পরিবর্তিত হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সরবরাহ ঘাটতি বা বিলম্বের মুখোমুখি হবে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও রপ্তানি আদেশ পূরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা বৈদেশিক আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সীমান্ত বন্ধ বা আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের কারণে স্থল-জল-আকাশপথে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয়ে উৎপাদন চক্রে বড় ধরনের ব্যাঘাতের ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও সরবরাহ সময় দীর্ঘায়িত করবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প : বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প প্রয়োজনীয় অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টসের (এপিআই) জন্য মূলত ভারত ও চীনের ওপর নির্ভরশীল, যার ৯৫ শতাংশেরও বেশি এই দুটি দেশ থেকে আমদানি করা হয়। ভারতের সঙ্গে সংঘাত হলে এসব উপাদানের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা স্থানীয় উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সরবরাহ ব্যাহত হলে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি স্থানীয় বাজার এবং রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা ওষুধ শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য বড় একটি হুমকি।
কৃষি খাত : বাংলাদেশ খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের জন্য ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানি করে। সীমান্ত বন্ধ বা পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে খাদ্য সরবরাহে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর ফলে খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিকল্প সরবরাহকারীর সন্ধান করা জরুরি হয়ে পড়বে।
অন্যান্য খাত : পরিবহন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং অবকাঠামো খাতও যুদ্ধে সরাসরি প্রভাবিত হতে পারে। স্থল, জল ও আকাশপথে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হলে সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, বৈশ্বিক জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যেতে পারে, যা শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যয়ে প্রভাব ফেলবে। আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রভাব
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য, যা বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাও কঠোর নজরদারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যতম সরবরাহকারী দেশ ভারত যদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। প্রকৃত অর্থে ভারতের ওপর উচ্চ আমাদানিনির্ভরতা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি। আঞ্চলিক বাণিজ্য যেমনÑ সার্ক ও বিমসটেক ইতোমধ্যেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে দুর্বল, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরও অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে, যা আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবে। আঞ্চলিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেলে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ এশিয়াকে একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গণ্য করতে পারে। ফলে বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি অনেক চলমান এফডিআই প্রকল্প স্থগিত হবে এবং নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা পিছিয়ে যাবে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে অস্থির করে তুলতে পারে এবং শেয়ারের দামে পতন ঘটাতে পারে।
ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধকালীন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা এবং সম্ভাব্য ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য একটি সুচিন্তিত, সমন্বিত এবং সময়োপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশল প্রণয়ন এবং কার্যকর নীতি নির্ধারণ প্রয়োজন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ
বাণিজ্য বহুমুখীকরণ : ভারতের ওপর একক নির্ভরতা কমাতে জরুরি ভিত্তিতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহুমুখীকরণ করতে হবে। আসিয়ানভুক্ত দেশ যেমন ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীন, তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে রপ্তানির জন্য নতুন বাজার সন্ধান এবং সেখান থেকে আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার ওপর জোর দিতে হবে। রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি সুশৃঙ্খল ও বাস্তবসম্মত কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন।
সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা : সম্ভাব্য সরবরাহ শৃঙ্খলে আঘাত বা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে, খাদ্যশস্য, জ্বালানি, শিল্পের কাঁচামাল ও ওষুধের মতো প্রধান ও অত্যাবশ্যকীয় আমদানির জন্য বিকল্প উৎস এবং বিকল্প পরিবহন রুটের ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা জরুরি। প্রয়োজনে কৌশলগত মজুত গড়ে তোলার কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে।
জ্বালানি নিরাপত্তা : আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানির উৎস বহুমুখী করার প্রচেষ্টা জোরদার করা প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শরণার্থী ব্যবস্থাপনা : সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে সম্ভাব্য শরণার্থী আগমনের মতো মানবিক সংকট মোকাবেলার জন্য একটি পূর্বপ্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
সংকট ব্যবস্থাপনা সেল : উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি কৌশলগত সংকট ব্যবস্থাপনা সেল গঠন করা যেতে পারে, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন।
আমদানিনির্ভরতা হ্রাস : দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেগুলোর দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে কঠোর ডলার ব্যবস্থাপনা নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত ও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য নীতিগত হস্তক্ষেপ ও প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে এবং একইসঙ্গে হুন্ডির মতো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ : মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারকে বিচক্ষণ রাজস্ব নীতি অনুসরণ করতে হবে। সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানো এবং বাজেট ঘাটতি একটি সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
রাখতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমানে শীতল ও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। একই সঙ্গে ভারতের বতর্মান সরকার খোলামেলাভাবেই ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কুটিল রাজনীতি করছে। এই অবস্থা বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। পাশাপাশি সমর ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহুমুখীকরণ, বিকল্প বাজার সন্ধান, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি, কার্যকর মুদ্রা ও রাজস্বনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ যুদ্ধকালীন সংকট মোকাবিলা করতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে সময় ও লক্ষ্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্যানেল