
ফুটপাত মানুষের নিত্যদিনের চলাচলের জন্য অন্যতম সহায়ক। অন্তত মহাসড়কগুলোর ক্ষেত্রে ফুটপাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়ক সংলগ্ন যে ফুটপাত সিটি করপোরেশন থেকে তৈরি করা হয়েছে, উক্ত ফুটপাতগুলোতে চলাচলের কোনো সুযোগ-ই রাখা হয়নি। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট থেকে শুরু করে কিছু অংশ বাজার এবং তারপরের অংশ থেকে শুরু করে মেইনগেট পর্যন্ত রাস্তার ফুটপাতে, বাঁশ ব্যবসায়ীদের বাঁশ, কালাইরুটির দোকান, চায়ের স্টল বা অন্য দোকানগুলো দিয়েই পরিপূর্ণ। পাশাপাশি দিনভর চলে বাঁশ ব্যবসায়ীদের গাড়িতে করে বাঁশ ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে, প্রথমত ফুটপাত দিয়ে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, বাঁশের ট্রাক থেকে বাঁশ নামানো বা উঠানোর জন্য রাস্তার অর্ধেক অংশ-ই থাকে দখলীকৃত। যার ফলে পথচারীরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলস্বরূপ সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুটপাত শুধু সাধারণ রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, বরং চলাচলের সুবিধার্থে জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রাপ্তবয়স্ক, যুবক এবং সাইকেল চালকদের জন্য ফুটপাতের আলাদা রংবিশিষ্ট লেন থাকে। এই ফুটপাতের ইতিহাস শুধু আধুনিক যুগের নয়, প্রাচীন রোমান সভ্যতায়ও রাস্তার পাশে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা জায়গা রাখা হতো। কিন্তু বর্তমানে আলোর শহর রাজশাহীর এই পরিস্থিতি, জনসাধারণের জীবনকে ফেলছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। তাই কোনো প্রাণ অনাকাক্সিক্ষতভাবে ঝরে যাওয়ার আগেই, ফুটপাতকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে, দ্রুত আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোছা. কাওছারিন জাহান জিম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্যানেল