ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যৌনতাকে শ্রমের মর্যাদা দেয়া কতটা যৌক্তিক

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১৭ মে ২০২৫

যৌনতাকে শ্রমের মর্যাদা দেয়া কতটা যৌক্তিক

ছবি: এমডি সাব্বির

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ যেন সমাজের বুকে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। গৃহকর্মীর ন্যায্য শ্রমের স্বীকৃতির পাশে যখন যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব আসে, তখন বিবেক কেঁদে ওঠে। যে পেশা নৈতিকতার ধস নামায়, পরিবারে অশান্তি ডেকে আনে, যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, তাকে শ্রমিক আখ্যা দেওয়ার দুঃসাহস কোথা থেকে আসে?

ধর্মীয় অনুশাসন যেখানে ব্যভিচারকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে, সেখানে এই ঘৃণ্য কাজকে কীভাবে শ্রমের পবিত্র মর্যাদা দেওয়া যায়? যারা অর্থের লোভে নারীদের এই অন্ধকার পথে ঠেলে দেয়, যুবকদের সর্বনাশ করে, তাদের প্রশ্রয় দেওয়া কি সমাজের আত্মহননের পথ প্রশস্ত করা নয়?

ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের শেখায় বিপথগামীকে ঘৃণা না করে তাকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। যারা অভাব বা নিগ্রহের শিকার হয়ে এই ঘৃণ্য পেশায় জড়িয়েছে, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং পুনর্বাসনের হাত বাড়ানোই মানবিকতার পরিচয়। খলিফা উমর (রা.)-এর মতো মহান শাসকের দৃষ্টান্ত আমাদের পথ দেখায়।

আসুন, আমরা সম্মিলিতভাবে এই কলুষিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দাঁড়াই। যৌনতাকে শ্রমের মর্যাদা না দিয়ে, তাদের জন্য সম্মানজনক জীবনের পথ তৈরি করি। এটাই হোক আমাদের সমাজের অঙ্গীকার, আমাদের মানবিক দায়িত্ববোধের শ্রেষ্ঠ প্রকাশ।

সাব্বির

×