ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হবে ক্লাসে

নাজনীন বেগম

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ১২ আগস্ট ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হবে ক্লাসে

শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হবে ক্লাসে

বিদ্রোহী কবি নজরুলের দুর্বিনীত ছাত্রদের নিয়ে কবিতা যেন তরুণ প্রজন্মের পরম দুঃসাহস আর শক্তি। উদ্ধৃত করছি- ‘ছাত্রদলের গান’ কবিতা থেকে-
আমরা শক্তি আমরা বল/আমরা ছাত্রদল।/মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান/ঊর্ধ্বে বিমান ঝড় বাদল/আমরা ছাত্রদল।-উদীয়মান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কবি নজরুলের নির্ভীক শব্দ চয়ন সত্যিই চিরন্তন এক কাব্যশৌর্য। যা বর্তমান সময়ের দুরন্ত এক গতিপ্রবাহ। জীবনের বহুবিধ যাত্রাপথের অঙ্গীকার আর প্রত্যয়ে ছাত্র সমাজের যে দুঃসাহসিক অগ্রগামিতা, তা যুগ-যুগান্তরের ঐতিহ্য।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী যে বিক্ষোভ আর উত্তাল হাওয়া, সেখানে মূল নেতৃত্বে দেশের অগণিত নতুন প্রজন্ম। যাদের বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে যে অনন্য সময় উদ্দীপ্ত হয়, তাও ছিল পরিস্থিতির অনিবার্যতা। স্বাধীন বাংলাদেশের আর এক নব অভ্যুদয় তো বটেই। হারজিতের হিসাব-নিকাশ সময়ের বিবেচনা। তবে আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অস্থিতিশীলতা দূর করে কাক্সিক্ষত পরিবেশ বজায় রাখা।

তবে যে কোনো বেসামাল পরিস্থিতিতে, খুন, জখম, ভাঙচুর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকরণÑ সবই যেন প্রায় অভিন্ন। অতীতের বহু ইতিহাসে এমন নজির কম নেই। এখন ভাবার অবকাশ থাকছে অগণিত শিক্ষার্থীর লাগাতার পাঠক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিচ্যুত দেশের জন্য শুভ সংবাদ কিনা। শিক্ষা উন্নয়ন কর্মযোগের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যা শুধু সংশ্লিষ্ট কাঠামোই নয়, বরং বিরাট সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ।

আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশের নতুন কারিগর। তাদের যে মাত্রায় শিক্ষাবর্ষের সময় অপচয় হয়েছে, তেমন ক্ষতি পোষাতে কতখানি দুর্বিপাকে পড়তে হবে তা সত্যিই আশঙ্কার বিষয়। 
আমরা ২০২০ সালের করোনা সংক্রমণের চরম দুঃসময়ে দেখেছি সবার আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বলয় অবরুদ্ধ করা হয়। সেখান থেকে ফিরতে খুদে প্রজন্মের যে সময় অতিক্রম এবং প্রযুক্তিতে আসক্তি বাড়ে, সেটাও তাদের জন্য মঙ্গলজনক হয়নি। এবারও কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম চাপটা আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনটিতে।

শিক্ষা জাতির মেরুদ-। বহুযুগ ধরে চলে আসা এক চিরস্থায়ী প্রবাদ। যা আধুনিক সময়কেও সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। তাই জাতির রক্ষাকবচ শিক্ষার বলয়টিকে অযাচিত হামলা, সংঘর্ষ আর দীর্ঘসূত্রতায় অবরুদ্ধ থেকে বাঁচানোই হবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। শিশু-কিশোর থেকে উদীয়মান শিক্ষার্থীর মূল্যবান সময়ের আর অপচয় নয়। বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়াশোনার আঙ্গিনায় ফিরে আসা।

শিক্ষার্থীদের বিকাশমান সময়টা বয়ঃসন্ধিকালের এক অবিমিশ্র দোলাচল। সেখানে ভালোমন্দের বিচার বিবেচনা হয় অপসৃত। ন্যায়-অন্যায় বোধের ফারাকও বোধগম্যের বাইরে থাকে। সব কিছুকে সুন্দর, সুশোভন কিংবা কদাকার, কদর্য ভাবতেও সময় লাগে না। যুগে যুগে প্রত্যেক মানুষই তার বয়ঃসন্ধিকালে এমন অহেতুক জোয়ারে ভাসতে থাকে। সেখান থেকে জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞজনেরাও বাদ যান না।

জার্মান মহাকবি গ্যেটে যখন আঠারো বছরের দোলাচলে, তখন তাঁর মনে হয়েছিল পুরো জার্মানি ঝলমল করছে আঠারোয়। আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথও বলতে দ্বিধা করলেন না নিজে যখন আঠারোয় পা দিলেন, সারাবাংলা আলোকের ঝলকানিতে হলো উৎসারিত।
সেখানে বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তেমন সন্ধিকালকে নিয়ে কবিতাই লিখে ফেললেন দুরন্ত, দুর্বিনীত এবং নির্ভীক প্রজন্মের নতুন সময়ের পরম আবেগাচ্ছন্ন অনুভবে। তার মধ্যে আন্দোলন অভিযানে ছাত্রদের মূল্যবান সময়ের ওপর অনাকাক্সিক্ষত জাতিকে নতুন কোনো বিপদ মোকাবিলা করতে হবে কি না সময়ের কাছেই তার জবাব পাওয়া যাবে।

সহায় সম্পদ পুনরুদ্ধার করা যায়, নতুনভাবে তৈরি করাও কোনো বিষয় নয়, যা সময়ের আঙ্গিকে নিজস্ব পথে এগিয়ে যায়। কিন্তু জাতি গড়ার নতুন কারিগরের শিক্ষা জীবনের যে ব্যবচ্ছেদ, তেমন মূল্যবান সময় আর কখনো ফিরে আসে না। এটাই অমোঘ সত্য এবং প্রচলিত ব্যবস্থাপনার অনিয়মিত পালাক্রম। যেখানে শুধু শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পিছিয়ে যাওয়া নয়, বরং সংশ্লিষ্ট অভিভাকদেরও উদ্বিগ্ন হওয়ার উপক্রম ঘটে।

তারা কোনো এক হিসাব-নিকাশে সন্তানকে পাঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নের তাগিদে। সেখানে শুধু অর্থ বিনিয়োগের বিবেচনা ছাড়াও সময়ের দীর্ঘসূত্রতায় অভিভাবকদের সীমাহীন দুশ্চিন্তা, সেটাকে আমলে নেওয়াও অনিবার্য। আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীর যে অলস সময় অতিক্রণ্ড সেটা কোন্ পর্যায়ে শিক্ষা পাঠক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, তার অপেক্ষায় পুরো জাতি।

এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য পেছানো হয়েছে। তারাও অলস সময় পার করতে অতি আবশ্যক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাঠক্রম থেকে কিছুটা ছিটকে পড়েছে। অবসর সময় পার করার মতো এমন টানাপোড়েন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আর কত মূল্য দিতে হবে জানি না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পেছানো মানেই উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ পাদপীঠে অনুপ্রবেশের সীমানাটাও সমস্যাকবলিত হয়ে যাবে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটকেও নানামাত্রিকে আবৃত করবে। 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও কচি-কাঁচারা ধীরগতিতে শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছে। উপস্থিতিও কম। এটা সার্বিকভাবে দেশের জন্য শুভ সংকেত নয়। বিশেষ করে অভিভাবকরা তাদের ছোট্টমণিরা যাতে নিরাপদ নির্বিঘেœ থাকতে পারে, সেটাই ভাবছে সবার আগে। পরিস্থিতি আরও ভালোর দিকে যাক, তেমন অবিচ্ছিন্ন সুসময়ের অপেক্ষায় আছেন তারা।

কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এখনো সেভাবে পড়াশোনায় নিজেদের সমর্পণ করতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে গিয়ে জ্ঞানের আলোকিত জগৎকে কেমন যেন পেছনে ফেলে যেতে হচ্ছে। সংস্কার আন্দোলনের সফলতা আর পুরনো সরকারের বিদায়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কিছু দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।

সেখানে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে ট্র্যাফিক সংকেতের লাল-সবুজ বাতি জ¦ালিয়ে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ যানজট নিয়ন্ত্রণ করতেও দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সমর্পিত হওয়ার পরম সময়ে এমন কার্যক্রম আগে কখনো দেখা যায়নি। এবার সত্যিই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা শুধু সরকার হটানোই নয়, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পারদর্শিতায়ও অনন্য এক শক্তি আর দায়বদ্ধতা দেখাল।

যা আগে কখনোই দৃশ্যমান হওয়া তো দূরের কথা, নিভৃত পরিবারের গৃহকোণেও তারা শুধু লেখাপড়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেও পারত না। বরং পিতা-মাতা অভিভাবকরাই তাদের শিক্ষার্থী সন্তানদের সবই হাতের নাগালে এগিয়ে দেওয়ার প্রচলিত দৃশ্যতেই আমরা অভ্যস্ত। নতুন বাংলাদেশের অত্যাধুনিক ছাত্রসমাজ পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারা সত্যিই অজানা এক বিমুগ্ধ বিষয়।

তবে আশঙ্কার বিষয়, মূল কার্যক্রম পাঠক্রম থেকে দীর্ঘবিরতি সত্যিই জীবন গড়ার যথার্থ পথকে কতখানি বিঘিœত করছে, সেটাও ভেবে দেখার সময় পার হতে চলেছে। বিকাশমান শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বুঝতে সক্ষম আর বেশি সময় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত নয়, বরং অবিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। নিতান্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী ভাবনা। এর ব্যত্যয় দেশ-জাতির জন্য কোনো মঙ্গলবার্তা বয়ে আনতে পারে না। শিক্ষার্থীরা যথাসাধ্য প্রচেষ্টা আর সমর্পণে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ছিল অকুণ্ঠিত।

যা তারা প্রমাণও করতে সময় নেয়নি। দেশ ও জাতির প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতায় যা যা করণীয়, সবটাই ফলপ্রসূ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অঙ্গীকারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা সফলতার সিঁড়িকে অতিক্রমে যেভাবে নিজেদের উৎসর্গ করে সেটা গৌরবময় আর ইতিহাস-ঐতিহ্য তো বটেই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কখনোই ধুলায় অবলুণ্ঠিত হয়নি। ভবিষ্যতেও এর বিপরীত কিছু হবে না।

এবার ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য যাত্রাপথকে রুখে দিতে গিয়ে পিছু হটতে হয়েছে প্রচলিত প্রশাসনকে। তাকে নতুন আঙ্গিকে আধুনিক রূপকল্পে এগিয়ে নিতে হলে অগণিত শিক্ষার্থীকে আগে শিক্ষায়, কর্মে, যোগ্যতায় নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হবে। মূল কর্মযোগ শিক্ষা পাঠক্রমে শুধু ফিরে যাওয়াই নয়, বাকি পথটা সদর্পে, অবলীলায় স্বাচ্ছদ্যময় গতি পার করে দিতে হবে। 
স্বাধীন দেশে শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে আপন শক্তি আর মনোসংযোগে শিক্ষা কার্যক্রমের মূল হাতিয়ারের অনুষঙ্গ হওয়া বাঞ্ছনীয়। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদ্ধদ্বার খুলে যাওয়া দেশের ভাবী প্রজন্মের জীবনমান নিশ্চিতকরণে সর্বোত্তম বিবেচনায় রাখতেই হবে। নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির বাংলাদেশের সময়ের নির্মাতারা শিক্ষা পাঠে মনোনিবেশ করে জীবনটাকে নানামাত্রিকে পূর্ণ করাও মূল উদ্দেশ্য। তেমন প্রত্যয় ভেতরের বোধে জাগিয়ে তুলতে হবে।

বিপ্লবী চেতনায় জরাজীর্ণ পুরাতনকে অতিক্রম করে দেশ থেকে বিশ^ সীমানায় নিজের যোগ্যতম আসন প্রতিষ্ঠিত করাই হোক ছাত্রসমাজের প্রত্যয় আর প্রতিজ্ঞা। চরম দুঃসময়ে যেভাবে হাল ধরতে হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সে রকম যাত্রাপথ নিরাপদ আর নির্বিঘœ করা পরিস্থিতির ন্যায্যতা। প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ে গেল জার্মান বস্তুবাদী সমাজ নির্দেশক কাল মার্কসের একটি অসাধারণ প্রত্যয়।

মাত্র সতেরো বছর বয়সে বিদ্যালয়ে একটি রচনা লিখতে হয় ‘জীবিকা নির্বাচনে তরুণের ভাবনা চিন্তা’। আমরাও লিখেছি সেটা ‘জীবনের লক্ষ্য’ হিসেবে। বিষয়টার গুরুত্ব ছিল অন্য জায়গায়। তরুণ কার্ল মার্কস যা লিখলেন তা ছিল চমকপ্রদ এবং আকর্ষণীয়। সতেরো বছরের মার্কসের লেখনী সত্তা তাকে নিয়ে গেল অতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের কল্যাণকর জীবনের কাছে।

অবলীলায় রচনা করলেন, ‘আমরা যদি এমন কাজ নির্বাচন করি যেখানে সাধারণ মানুষের মঙ্গল জড়িত থাকবে কর্মের সর্বাংশ জুড়ে। আর তাই হবে জীবনের অবধারিত লক্ষ্য আর নিশানা।’
জীবনকে পূর্ণাঙ্গরূপে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চাইলে সবার আগে শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কই অতি গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পবিত্র আঙ্গিনা। আন্দোলন-অবরোধে শুধু ন্যায্য দাবি পূরণ নয় বরং প্রত্যাশিত, কাক্সিক্ষত স্বপ্ন অর্জিত হওয়াও এক অভাবনীয় বিস্ময় আর গৌরব। অসমাপ্ত পাঠক্রমকেও পূর্ণতায় নিয়ে এসে যোগ্যতম নাগরিকের মর্যাদায় নিজের আসন অভিষিক্ত করা এই মুহূর্তে সবার আগে জরুরি।

অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগে উৎসাহিত আর উদ্দীপ্ত করে যাবেন নিশ্চয়ই। তারা শিক্ষায়, আদর্শে, দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি সচেতন দায়বদ্ধতায় আপন লক্ষ্যে স্থির ও অবিচল থেকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী নায়কের স্থান অলঙ্কৃত করবে- এটিই প্রত্যাশা করি।

লেখক : সাংবাদিক

×