ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১২ আগস্ট ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

হঠাৎ করেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির আতঙ্কে

হঠাৎ করেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির আতঙ্কে ভুগতে শুরু করল সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলেছেন, তারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। এদিকে পুলিশবিহীন ঢাকায় ডাকাতের হাত থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে মহল্লায় মহল্লায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরেও এ পরিস্থিতি ঢাকার রাতের চিত্র বদলে দিয়েছিল।

ডাকাতের ভয় 
গত ক’দিন ধরেই ঢাকার বেশ কিছু এলাকা থেকে খবর এসেছে যে তাদের এলাকায় ‘ডাকাত পড়েছে’। কেউ সেই ডাকাত স্বচক্ষে দেখেছেন বলে জানাচ্ছেন, কেউ আবার কেবলই শুনেছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাসাবাড়ি, দোকান, প্রতিষ্ঠানগুলোয় নৈরাজ্য, লুটপাট ও ডাকাতি শুরু করে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে রাস্তাঘাটে অবস্থানরত দোকানগুলোয়ও লুটপাট করে এরা। দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাকু, লাঠি, বাঁশ ও লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এরা দলে ৩০-৪০ জন করে ছোট পিকআপভ্যানে মহড়া দেয়।

রাস্তায় যাকে পাচ্ছে তাকেই ধরে নিয়ে যায়। আবার সুযোগ বুঝে বাসাবাড়িতেও হামলা চালায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের কিছু এলাকায়।
বুধবার রাত ১২টার পর থেকে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আরশিনগর, আঁটিবাজার, নয়াবাজার, বসিলা, বসিলা মেট্রো হাউজিং, মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং, শেখেরটেক, জিগাতলা, ধানম-ি, হাজারীবাগ এলাকা, শনির আখড়া, মিরপুরের পল্লবী, মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর এলাকা, উত্তরার ৮-৯, ১০-১১ নম্বর সেক্টর, গাজীপুর ও টঙ্গী কলেজ রোড এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ২৯ জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেন স্থানীয়রা।
বিবিসি নিউজ বাংলার প্রতিবেদনটি পড়লেই সার্বিক বিষয়টি বোধগম্য হবে। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অন্তত ১৫ জনের সঙ্গে ‘ডাকাতি’ বিষয়ে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সকলেই কাল রাতে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে বা মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন গ্রুপেও তাদের মতামত জানিয়েছেন।

এদের বাইরেও অনেকেই অনলাইন ও অফলাইনে বলেছেন যে গত রাতে তাদের এলাকার মসজিদগুলো থেকে জনসচেতনার উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হয়েছে। যেসব এলাকা থেকে ডাকাতির খবর বা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, কালশী, ইসিবি চত্বর, আশকোনা ইত্যাদি।
গত পাঁচই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে অকার্যকর হয়ে পড়ে তার মন্ত্রিসভাও। বিকল হয়ে পড়ে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ওইদিন থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লুটপাট করা হচ্ছে। 
ধানম-ি এলাকা থেকে ফেসবুকে ডাকাত বিষয়ক পোস্ট দেন রিদম নাথ নামক একজন। যোগযোগ করা হলে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, কাল রাতে তাদের বাড়ির ঠিক পাশের বিল্ডিংয়ে এক দল লোক এসে জিনিসপত্র লুট করতে শুরু করে। কিন্তু তখন এলাকার মানুষজন পাহারা দেওয়ায় সবাই টের পেয়ে যায় এবং ওদেরকে ধাওয়া করে।
ঢাকার একজন সাংবাদিক অনির্বাণ বিশ্বাস, তিনিও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।
তিনি সেখানে লেখেন যে রাত সোয়া ১২টা থেকে ‘মোহাম্মদপুর, বসিলা, ওয়েস্ট ধানম-ি এলাকায় লুটপাট করতে বিভিন্ন দিক থেকে ঢুকে পড়ে ডাকাত, নাশকতাকারী বা দুর্বৃত্তরা।’
বিবিসি বাংলার রিপোর্টে এসকল ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কিংবা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। ফলে কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয়নি।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আবার শিক্ষার্থীরা
আঠেরো সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সে সময়ে সব বয়সী শিক্ষার্থীরা বেশ ক’দিন ঢাকা শহরে ট্রাফিক কন্ট্রোল করেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ হলো রাজধানীর সড়কে আবারও  ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। বলা যায়, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। অনভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের এ ভূমিকায় সন্তুষ্টির পাশাপাশি অসন্তোষও প্রকাশ করেন অনেকে। 
ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্টটিতে সুন্দরভাবে সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। লেখা হয়েছে: ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত পাঁচ শতাধিক পুলিশ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেক থানা ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ট্রাফিক পুলিশসহ সব ইউনিটের পুলিশ সদস্য জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় কর্মবিরতিতে চলে যান। এরপর থেকে সড়কে শৃঙ্খলার হাল ধরেন শিক্ষার্থীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এছাড়াও অভিজ্ঞতাহীন শিক্ষার্থীরা সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে নিজেদের যুক্ত করায় যেমন বাহবা পাচ্ছেন, তেমনই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেকে। এই অক্লান্ত পরিশ্রমের কাজ আর কতদিন করবে শিক্ষার্থীরা! ট্রাফিক পুলিশ ফিরবে কবে? এমন প্রশ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কসহ গলিগলিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার করা ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাদের পাশাপাশি অনেক অভিভাবক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সেনাবাহিনীর সদস্য, স্কাউট, বিএনসিসি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এ কাজ করছেন। তারা প্রতিটি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে লেনভিত্তিক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছেন। রিকশা, মোটরসাইক-সিএনজি এবং প্রাইভেট কার ও বাসের জন্য আলাদা লেন নির্ধারণ করে চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
টানা কয়েকদিন ধরে রাস্তায় রোদ-বৃষ্টি ও ধুলাবালির মধ্যে কাজ করায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মগবাজার এলাকায় গুলশান কমার্স কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেতু আহমেদ বলেন, গত তিনদিন ধরে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছি। সড়ক শৃঙ্খলায় সকাল ১০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় আছি। শৃঙ্খলা ফেরাতে সারাদিন কথা বলতে গিয়ে গলা বসে গেছে। শরীরে জ্বর অনুভব করছি।
বিজয় সরণির মোড়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী গাড়ির সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেখানে রফিকুল ইসলাম নামে একজন ছাত্র বলেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছি। গাড়ির শৃঙ্খলা ফেরাতে রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছি। যতক্ষণ না ট্রাফিক পুলিশ এখানে আসবে, ততক্ষণ আমরা দায়িত্ব পালন করব। আমরা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করছি।

একটি সকালে আরেকটি বিকাল তিনটার পর দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
সড়ক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্টির পাশাপাশি অসন্তোষও প্রকাশ করেন অনেকে। তারা বলেন, রাস্তায় যারা ট্রাফিক পুলিশের কাজ করছে। তারা সবাই আলাদা। এখানে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা কমান্ড নেই। ফলে যে যার মতো করে কাজ করছে। অনেক যানবাহনকে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। আবার শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাস্তায় নেমে অনেকে খারাপ ব্যবহারও করছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

‘শাস্তির ভয়ে’ হেলমেট বিক্রি বেড়েছে
শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে, সুতরাং এখানে কোনো ছাড় নেই। ফলে সড়কের নানান অসঙ্গতি চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে তাদের আটকিয়ে শাস্তি দিচ্ছেন তারা। ফলে শাস্তির ভয়ে হেলমেট ছাড়া সড়কে বের হচ্ছেন না মোটরসাইকেল চালকরা। এতে বেড়েছে হেলমেট বিক্রি।

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের পরও বাইক চালকদের মধ্যে বেড়েছিল হেলমেট পরার বিষয়ে সচেতনতা। তার রেশ গিয়ে ঠেকেছিল রাজধানীর হেলমেটের বাজারেও। ওই সময় বিক্রি ব্যাপক বেড়েছিল। এবার অবশ্য বিক্রি ততটা বাড়েনি। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় হেলমেট বিক্রি বেড়েছে।

গণভবনে লুটপাট
শেখ হাসিনার পদত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ বাধাহীনভাবে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়ে। উৎফুল্ল জনতার একটি বড় অংশ উচছৃঙ্খলতার পরিচয় দেয়। তারা লুটপাটে নেমে পড়ে। রকমারি জিনিসের পাশাপাশি রাজহাঁস, খরগোশ ও মাছের সঙ্গে গণভবন থেকে লুট হয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনার প্রিয় পার্সি বিড়াল। অবশেষে সেই পোষ্য বিড়াল আবার ফিরে এসেছে গণভবনে। 
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজিক মাধ্যমে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বাসভবন থেকে লুটের পর ৪০ হাজার বাংলাদেশী টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বিড়ালটিকে। অবশেষে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) তাকে ফিরিয়ে এনেছে। গণভবনে ফিরেছে হাসিনার প্রিয় জার্মান শেফার্ডটিও।
ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ‘অভয়ারণ্য’ নামে ওই সংগঠনটি জানিয়েছে, হাসিনার বিড়ালটিকে ফেরানো হয়েছে গণভবনে। জার্মান শেফার্ড কুকুরটিকেও ফেরানো হয়েছে। শাম্মি ইসলাম নীলা নামে এক মহিলার কাছে ছিল সেটি। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল। 

সেখানে দেখা গিয়েছিল, গলায় চেন দিয়ে টেনেহিঁচড়ে গণভবন থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, যে সব পশুপাখি গণভবন থেকে লুট করা হয়েছিল, তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ওই পশুপাখিদের যাতে যতœ হয়, সে দিকেও নজর দিয়েছে তারা।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গণভবনে ওই পশুপাখিদের যিনি যতœআত্তি করতেন, তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রয়োজনে পশুপাখিদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যারা গণভবন থেকে পশুপাখি লুট করেছেন, তাদের অবিলম্বে সেগুলো ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংগঠন। গণভবনের ফটকে রক্ষীর হাতে সেগুলো তুলে দিতে বলা হয়েছে। যারা নিজেরা গণভবনে যেতে চান না, তাদের কাছ থেকে এই সংগঠনের সদস্যেরা পশুপাখি সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেবে। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।

বত্রিশ নম্বরে আগুন
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে ৫ আগস্ট আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই বাড়িতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। পরে এই বাড়িটিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ করছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু এক নয়। আমি আশা করব, এই অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কারা আগুন দিয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার করবে। এর সঠিক বিচার না করলে এ সরকারকে তার জবাবদিহি দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের সম্মান। তার ভাস্কর্য এভাবে ভাঙা উচিত হয়নি। এটা যদি আন্দোলনকারীরা ভেঙে থাকে, আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা ভেঙে থাকে, তাহলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসভবনে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

সবকিছু ধসে পড়ে...
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব পদত্যাগ করেছেন। কিছু শূন্যস্থান শূন্য থাকেনি, সংক্ষিপ্ত সময়ের ভেতরেই পূরণ হয়ে গেছে। প্রধান বিচারপতিসহ কয়েকজন বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নরসহ ক’জন শীর্ষ পদের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলা একাডেমিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধান দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেন। 

এবং সর্বশেষ
রবিবার এই লেখা প্রেসে যাওয়ার সময়ে জানা গেল বিভিন্ন পদে থাকা সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হচ্ছে। ওদিকে শাহবাগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।


৮ আগস্ট ২০২৪

[email protected]

×