বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখে, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে ভুমিকা রাখে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই কেবল বঙ্গবন্ধু শান্তি পদকের জন্য মনোনীত হতে পারে
বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পদক দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শান্তি প্রতিষ্ঠায় কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ নামের পদক পাবেন।
প্রতি দুই বছর পর পর এই পদক দেওয়া হবে। প্রতিবার প্রধানত এক ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী এই পদকের অর্থমূল্য হবে এক লাখ মার্কিন ডলার। এর সঙ্গে থাকবে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সনদ।
দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখে, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে ভুমিকা রাখে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই কেবল বঙ্গবন্ধু শান্তি পদকের জন্য মনোনীত হতে পারে।
এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়েই বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদানকারী জুরিবোর্ড দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি দুই বছর পর পর এই পদক প্রদানের জন্য নির্বাচন করবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবার ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এই পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হবে। তারপর ২৩ মে বা কাছাকাছি সময়ে সেই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২৩ মে পদক দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরার কারণ হলো, ওই তারিখে বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য জুলিও কুরি পদক পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বিশ^ শান্তি পরিষদ প্রদত্ত ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ^মানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি। বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন। জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মান। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে হয়ে ওঠেন বিশ^বন্ধু।
বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত পদকটি ছিল একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের এক তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় ও সাফল্য। এ পদকপ্রাপ্তি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। স্বাধীন বাংলাদেশের দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি অর্থবহ ভূমিকা রেখেছে।
বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোনো ধরনের সংঘাত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামাকে প্রশ্রয় দেননি। সহ্য করেননি মানবতার কোনো ধরনের অবমাননা। বঙ্গবন্ধু নিজের এবং পরিবারের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিশে^ গণমানুষের অধিকার আদায়ের মাধ্যমে বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমৃত্যু লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন।
বাঙালি জাতির অহঙ্কার, বিশ^মানবতার পরম বন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশে^র মুক্তিকামী নিপীড়িত মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির এই দিশারী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।
বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম, তাদের অধিকার আদায়ে সহ্য করেছেন জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার।
শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তিনি। গণমানুষের পক্ষে তাঁর সাহসী অবস্থান ও বিশ্ব মানবতার পক্ষে সব সময় সোচ্চার থাকার স্বীকৃতিস্বরূপই ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ^ শান্তি পরিষদ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পেয়েছিল স্বাধীনতা। মুক্তি পেয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার ও জুলুম থেকে। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজ দক্ষতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পর্ক স্থাপন ও বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতির মূল স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন শান্তি এবং ন্যায়ের প্রতীক। তিনি স্বপ্ন দেখতেন শান্তি ও সম্প্রীতির একটি বিশ্বের। সুদক্ষভাবে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির বাস্তব প্রতিফলনও ঘটেছিল ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সংবিধানে।
বিশ^ শান্তির অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সকল অন্ধকারকে পরাজিত করে আলোর পথে যাত্রা চলমান রয়েছে। সেটি দিনে দিনে আরও আলোকিত হয়ে উঠছে। সেই আলোয় এখনো অম্লান হয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক অর্জনের স্বীকৃতি।
সেই অর্জনের শক্তিই এখন ইতিবাচক শক্তিতে পুঞ্জীভূত হয়ে পদ্মা সেতুর মতো আরও অনেক অর্জনের উজ্জ্বল আলোয় বাঙালির অগ্রযাত্রাকে নতুন দিনের পথ দেখিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ ধরে মানবতার মা খ্যাত বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের অবদান অপরিসীম।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার কাজে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বর্তমানে জাতিসংঘের অধীনে বিশে^র বিভিন্ন গোলযোগপূর্ণ দেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ নিয়ে বিশ^ নেতারাও এখন তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
নিজ ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বিশে^র বুকে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবতার জননীখ্যাত বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ দফার শান্তির মডেল উপস্থাপন করেছিলেন।
সেগুলো হচ্ছে- ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য দূরীকরণ, বঞ্চনার লাঘব, ঝরে পড়া মানুষদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তৈরি হয়েছে আর্থ-সামাজিক খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বর সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় হুমকিস্বরূপ গণহত্যার শুরু থেকে নিন্দা জ্ঞাপন এবং তা বন্ধের ব্যাপারে আহ্বান জানিয়ে আসছেন মানবতার মাখ্যাত আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুধু নিন্দা জানিয়েই বসে থাকেননি, বরং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য শুকনো খাবার, মেডিক্যাল সামগ্রী ও কাপড়সহ ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলি বর্বর বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
শত বাধাবিপত্তি এবং বারবার হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকস্বাধীনতা, ভোট ও ভাতের অধিকারসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপোসহীন থেকে দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বেই স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিক খাতে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব অগ্রগতি।
দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বিশে^র বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে অনেক সম্মানসূচক ডিগ্রি ও পুরস্কার দিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তাকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে ইউনেস্কো।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল তাকে মর্যাদাসূচক ‘পার্ল এস বাক ৯৯’ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ^ খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ মেডেল প্রদান করে।
সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার তেরেসা’ পদক প্রদান করে। ২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এ ছাড়া তিনি ব্রিটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং দুইবার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। এ ছাড়াও মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা আপোসহীন কর্মকা-সহ বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত বা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই সারা বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক।’
বিশ^ শান্তির অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ^সভার অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পিতার দেখানো পথ ধরে সাধারণ মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। শান্তি ও মানবতার এই দিশারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি।
বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বিশে^র কাছে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন ও বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছেন। তাঁর সেই আদর্শিক ধারায় স্নাত হয়ে শেখ হাসিনা মেধা ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে জনগণের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন।
জননেত্রীর জাদুকরী নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত দেশে ও দেশের বাইরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অভিন্ন ও অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক প্রদান বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে এবং শান্তিতে বিশ্বাসী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
লেখক : অধ্যাপক, উপাচার্য
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়