ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন কর্মযোগের নতুন দিগন্ত

নাজনীন বেগম

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৮ নভেম্বর ২০২২

উন্নয়ন কর্মযোগের নতুন দিগন্ত

উন্নয়নের মহাকর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশ দুরন্ত বেগে ছুটে চলেছে

উন্নয়নের মহাকর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশ দুরন্ত বেগে ছুটে চলেছে। অনেক সম্ভাবনা ইতোমধ্যে সার্বিক জনগোষ্ঠীকে মাতিয়েও দিয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশ সদর্পে এগিয়ে চলেছে ইউএনডিপির টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায়। আমরা এখন ২০২২ সালের অন্তিম সময় অতিক্রম করছি। দৃশ্যমান উন্নয়ন, সংকট, হরেক মাত্রার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত দূষণ প্রক্রিয়াকেও বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার আগে ২০২১ সালের কর্মপ্রকল্পের নতুন ধারায় দেশ কি মাত্রায় আলোকিত হয়েছে তাও অনন্য যাত্রাপথ। টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের যে সীমা তা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে যেভাবেই হোক, সামনের দিকে এগিয়ে চলার প্রাণপণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ইউএনডিপির টেকসই উন্নয়নের যথার্থ গন্তব্য দেওয়া থাকলেও প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি ও কর্মযাত্রা বিবেচনায় তা আলোর মুখ দেখে। বাংলাদেশের বেলায়ও বিভিন্ন কর্মপ্রকল্প তার নির্ধারিত যাত্রাপথে এগিয়ে যাওয়ার মাঝপথে নানা মাত্রিক দুর্ভোগ সামলাতে হয়েছে। প্রকল্প যার মাধ্যমেই আসুক তা সম্প্রসারিত ও বাস্তবায়নে দেশ ও মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিহিত, যা কোনো একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকারই নয়, নিত্যদিনের চাহিদাও বটে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনবান্ধব সূচকগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারলে শেষ অবধি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোও অসম্ভব কিছু নয়। আমরা এখন উন্নয়ন মহাযজ্ঞের সুবিশাল যাত্রা অতিক্রমের মহাসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি।

অনেক অবধারিত উন্নয়ন শোভাবর্ধন করছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত অগ্রগতির সুবিশাল পথযাত্রা। সফলতার অনন্য পর্যায়ে দেশ যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে, তেমন সুবর্ণ সময়ে কালব্যাধি করোনা তার বিধ্বংসী থাবায় যেন সবার ওপর রুদ্ধতার আবরণ দিয়ে দেয়। সেই ২০২০ সালের চরম অশনিসঙ্কেত। ইতোমধ্যে দুটি বছর ইতি-নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে এগিয়েছে অনেকটাই। করোনা শুধু বাংলাদেশকে বিপন্ন করেনি, বরং তাবৎ বিশ্ব করোনার নৃশংস আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত, পর্যুদস্ত। শুধু কি তাই? চরম ছোঁয়াচে এই সংক্রামক রোগটি থেকে বাঁচতে গেলে সামাজিক দূরত্ব কিংবা ব্যক্তিক বিচ্ছিন্নতাই নয়, সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ল রোগটিকে নির্মূল করার নিত্যনতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা।

এখানেও বিজ্ঞান তার সফলতার দ্বারে পৌঁছাতে খুব বেশি সময় নেয়নি। প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হওয়া ছাড়াও তা সারাবিশ্বে সম্প্রসারিত করে দেওয়াও বিপন্ন সময়ের যৌক্তিক কর্মযোগ। সেটাও সম্ভাবনার দ্বারকে স্পর্শ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি। তবে ততদিনে ক্ষতি যা হওয়ার তা যেন নীরবে, নিঃশব্দে হয়েই গেল। অর্থাৎ স্থবির বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে যাওয়াটা এক আপৎকালীন দুঃসময়। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে চরমভাবে মাথাচাড়া দেওয়াও বিশ্ব পরিস্থিতির এক অদম্য অস্থিরতা।

আবার করোনা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হওয়ার আগেই তা দেশে দেশে সম্প্রসারিত হওয়ায় বিরাট অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে তাবৎ দুনিয়াকে। আর আমাদের মাশুল দিতে হচ্ছে শুধু করোনার দুর্বিপাকই নয়, বরং দেশীয় বিপন্ন শক্তির বহুমাত্রিক আস্ফালনেও। বিরোধী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি ছাড়াও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লাগামহীন অপবাণিজ্যে দেশ আজ সীমাহীন অস্থিরতার এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। তারপরও বাংলাদেশের যাত্রা সেভাবে শ্লথ না হওয়ার দৃশ্যই অনেকটাই স্বস্তির নিশ্বাস।
শত বাধা প্রতিবন্ধকতাকে অজেয় মনোবলে অতিক্রম করে দেশ আজ অনন্য স্থানে অভিষিক্ত হওয়াও বড় অর্জন। চলতি বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সারা জাতি এক পরম শুভসঙ্কেতে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। পদ্মা সেতুর উন্নয়ন কার্যক্রম যেভাবে কেলেঙ্কারির বন্ধন থেকে বের হয়ে এসেছে, তাও যেন এক অভিনব ইতিহাস। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অভাবনীয় দ্বার উন্মোচন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াকু জীবন একসূত্রে অবিমিশ্র হয়ে নতুন অধ্যায়ের মঙ্গলযাত্রা দেশ ও জাতির চির অহঙ্কার। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের চরম দুঃসময়ে শেখ হাসিনা যেভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন, তাও দেশের গৌরবময় ইতিহাসের মাইলফলক।

প্রধানমন্ত্রীর জ্যোতির্ময় অভিযাত্রা যেন কালো অধ্যায়কে আলোর ঝর্ণাধারায় উদ্ভাসিত করে দিল। সারা বাংলাদেশ আলোর ঝলকানিতে ঝলমলে হয়ে উঠল, জয়ধ্বনি আর উৎসব মুখরিত আঙিনায় যেন নতুন জোয়ারের ক্লান্তিহীন প্লাবন এলো। ভাবাই যায় না। মনে হয়, জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই কি এতখানি শৌর্যবীর্যের অধিকারী হলেন? এক অদম্য গতিতে অশুভ সঙ্কেতের বাধা বিঘœকে দুমড়ে মুচড়ে উপড়ে ফেলে যেন নিষ্কণ্টক পথে অপ্রতিহত গতিতে সামনে এগিয়ে চলছেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনই নয় সারা বাংলাদেশ সম্প্রসারিত উন্নয়নের কর্মধারায় অনন্য গতিশীলতায় কতদূর এগিয়ে যাবে, তেমন হিসেব-নিকেশ তো সময়ের কাছে। উন্নয়ন মহাযজ্ঞের পাশাপাশি অনেক অবাঞ্ছিত জঞ্জালও পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে সর্বদা ক্রিয়াশীল থাকে। পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রযুক্তির আঙিনায় ১০০ সেতুর দ্বার উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর শাসনকালীন এক অবিস্মরণীয় যাত্রা। যা ইতিহাসের যাত্রাপথের অবশ্যম্ভাবী অনন্য অর্জন। তবে অর্জনের যমজ ভাই হিসেবে বিসর্জনও পিছু ছাড়ে না।
উন্নয়ন কর্মকা-ের সহযোগী হিসেবে যে সব আবর্জনা, বিশৃঙ্খলা মাথাচাড়া দেয় তা সামলানো ততোধিক কঠিন। সেও যেন এক বিপরীত ধকল পাড়ি দেওয়া। উন্নয়নের নানামাত্রিক উপকরণে বিভিন্ন জায়গায় যে এলোপাতাড়ি দুর্বিপাক সেটাও এক বড় ধরনের বিপদ। সেখান থেকে বের হয়ে আসাও চরম অব্যবস্থাপনাকে অতিক্রম করা। তবে উত্তরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিশাল জায়গাজুড়ে উন্নয়নের অভিঘাতে নিত্য জীবনের যে সংঘাতময় আকাল সেটাও প্রতিদিনের এক অসহনীয় দুরবস্থা। তবে উত্তরার এমন উন্নয়ন অভিঘাত মেট্রোরেল পুরোপুরি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেষ হবে না বলে অনুমান করাই যায়। তবে সেটা কবে যে শেষ হবে তা এখনও অনিশ্চিত।

নানামাত্রিক অপঘাতে মানুষের নিত্যজীবনের যে দুর্ভোগ তাও বাড়তির দিকে। অপঘাতের উল্টোপিঠে দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ নি¤œবিত্তের আয় রোজগার তেমন বাড়ছে না। কিন্তু খাদ্য জোগান দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে নিদারুণভাবে। সবার আগে মানুষকে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে হয়। ছোট একটা বাসস্থানের প্রয়োজন। ন্যূনতম বস্ত্রও টিকে থাকার চরম আবরণ। শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের কথা ভাবারই অবকাশ থাকে না। আমরা ২০২২ সালের শেষ সময়ে যেমন অনেক উন্নয়ন কর্মযোগ বাস্তবায়ন হতে দেখছি, পাশাপাশি নানা বিপর্যয়ও আমাদের পিছু ছাড়ছে না।
এদিকে নতুন করে উদ্বোধন হলো চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল, যা জাতির ইতিহাসের এক ভিন্নমাত্রার নতুন চমক তো বটেই। এক নব অধ্যায়ের শুভ সূচনায় যেন বাংলাদেশ তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অংশীদার হয়ে দেশ ও জাতিকে নিত্যনতুন সম্ভার উপহার দিল। সারাদেশ এখন উন্নয়নের বহুমাত্রিক কর্মপ্রকল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। সমানতালে পিছু নিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা-সংকট এবং দুর্বৃত্তায়ন। পেশিশক্তির চরম দাপট শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতায় মাথাচাড়া দেয় না, বরং আর্থিক সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট পেশিশক্তিকে লালন ধারণ করতে বাধ্য হয়। চারপাশে যখন অপশক্তি তার হিং¯্র থাবা উন্মুখ করে আছে, সে মাত্রায় শুভ শক্তি নানা বিপন্নতাকে সম্মুখ সমরে মোকাবিলা করতে কোনো কিছু ভাবতেও চায় না।

উপস্থিত সংকট মেটানো যেখানে জরুরি হয়ে যায়, সেখানে ন্যায়-অন্যায় বোধও স্থবির পর্যায়ে আবর্তিত হয়। আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অনেকটাই স্পর্শ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াকেও কঠোরভাবে মাড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। সর্বক্ষেত্রে হয়ত সফল হতে পারছি না। বাজার মূল্যে এখন দাবানল জ¦লছে। প্রকৃতিও তাপদাহে শীতকে অনুভব করতেই দিচ্ছে না। ফলে, কোলের সন্তানদের বেগতিক অবস্থায় রুষ্ট প্রকৃতি যেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়। কোনো এক সময় চিনি উধাও হয়ে যাচ্ছে বাজার থেকে। আবার নিত্য আটার মূল্যের যে অসহনীয় দাম, তার থেকেও রেহাই মিলছে না। টাকা দিলে যখন জিনিসটি পাওয়া যায়, তাহলে তার আসলে কোনো ঘাটতিই নেই।

কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যবসায়িক অপশক্তি সর্বদা ক্রিয়াশীল। কোনো কিছুর দাম তো কমেই না- বরং তা পালাক্রমে ঊর্ধ্বগতি হওয়াই যেন বাস্তবোচিত। মানুষের মাসিক আয় সেভাবে বাড়েও না। তারপরও তাকে খেয়ে পরে টিকে থাকার বিষয়টিই সবার আগে ভাবতে হয়। ভাবতে গিয়ে তার মানসিক অস্থিরতা, শরীর ও মনের অত্যধিক চাপে অনেক সময় বিপৎগামী হতেও কিছু ভাবে না। আজ আমরা এক অবর্ণনীয় দুঃসময়কে অতিক্রম করার অসময়ে উন্নয়নের অবধারিত কর্মযজ্ঞ দৃশ্যমান হলে সফলতাকে সেভাবে নিতে না পারাটাও অসহনীয়। তবে প্রত্যাশা, উন্নয়নের অসমাপ্ত কার্যক্রম যাথসম্ভব দ্রুত সময়ে পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে। মূল্যের যে লাগামহীন অবস্থা সেটিও এক সময় জনগণের সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
ভাঙাগড়ার অদম্য পালাক্রমে শক্ত হাতে সম্মুখসমর মোকাবিলা করাও জীবনযুদ্ধের বিক্ষুব্ধ যাত্রাপথ। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে মাত্রায় সহনীয় মনোবলে কঠিন পথ পাড়ি দিচ্ছেন, সেটা শুধু নজির হিসেবে দেখলে হবে না, বরং অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বিবেচনায় তাকে বরণ করাও চরম দুর্বিপাকের অনন্য রক্তিম নিশানা। নিজের শক্তিতে অনমনীয় মনোবলে যে মাত্রায় জনগণের পাশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন, সেই ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমায় আমাদেরও তাকে অনুসরণ করা অন্যতম দায়বদ্ধতা।

বর্ণাঢ্য পিতা-মাতা এবং ভাইদের হারিয়ে নিঃস্ব, রিক্ত অবস্থায় নেতৃত্বশূন্য জাতির কর্ণধার হিসেবে বীরদর্পে এগিয়ে চলা সহজসাধ্য ছিল না। কি করে পারলেন আমাদের ভাবনায়ও আসে না। অসহনীয় শোককে দুর্দমনীয় শক্তিতে রূপান্তর করে অদম্য সাহসে যে মাত্রায় নিজেকে শাণিত করলেন তাতে চারপাশের জঞ্জাল যেন উপড়ে ওঠার উপক্রম হলো। বাস্তবের কশাঘাতে তাই যেন জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে অন্ধকারে উৎসারিত আলোতে তেজোদীপ্ত হতে সময় নিল না।
আমাদের অর্জন হয়েছে অনেক। বিসর্জনের পাল্লাও তত হাল্কা নয়। তবু অর্জনের সফল যাত্রায় অবশিষ্ট পথ পাড়ি দিতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী শক্তির ভূমিকায় সবাইকে কঠিন পথে তার পাশে থাকা জরুরি। আমাদের ভুললে চলবে না উন্নয়নের মহাপ্রকল্পের সার্বিক কর্মযাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই শুরু হয়েছে। এগিয়েছে, আর সফলতার শীর্ষেও উঠেছে। এখনো অনেক কাজ বাকি। সেগুলোকেও ঠিকঠাকভাবে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দিতে হবে। যা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ। মাঝখানে করোনা দুর্ভোগ হানা না দিলে আরও ত্বরিত গতিতে কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে যেত নিঃসন্দেহে। শুধু কি করোনা? ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের বিপরীত প্রতিঘাতে অর্থনৈতিক মন্দাও চেপে বসেছে। সেটাও সামলাতে হবে ঠা-া মাথায়।
 
লেখক : সাংবাদিক

×