বিশ্বমঞ্চে রাশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা ও আফ্রিকা
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণের ঘটনা এমন এক সময় ঘটেছে যখন আফ্রিকার দেশগুলো অতিমারীর প্রভাব থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য পথ হাতড়াচ্ছে। ভৌগোলিকভাবে দূরে অবস্থিত এক অঞ্চলে যুদ্ধ চললেও তার একাধিক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশে, এমনকি বিশ্বব্যাপী। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই মহাদেশটির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার দরুন বর্তমান সঙ্কট আফ্রিকার অর্থনীতি এবং রাজনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলছে। তাই আফ্রিকা নিয়ে নতুন করে বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখছে রাশিয়া। হীরা ও অস্ত্র থেকে শুরু করে পারমাণবিক বিদ্যুত, তেল সবকিছু নিয়েই রাশিয়ার আগ্রহ বাড়ছে।
তবে এটা বলা যায় যে, অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক দেরিতে আফ্রিকার দিকে নজর দিয়েছে রাশিয়া। ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলো আফ্রিকান অর্থনীতিতে অনেক আগে থেকেই জড়িয়ে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে চীন এই মহাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই বলা যায়, এই মাঠে রাশিয়ার প্রবেশ একটু দেরিতেই হয়েছে। তবে আর দেরি করছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাই নয়, আফ্রিকার আরও অনেক দেশের সরকার ও নেতাদের কাছ থেকে ইউক্রেনে হামলার জন্য সমর্থন পেয়েছে মস্কো। অনেকে হামলার নিন্দাও জানায়নি। আফ্রিকার দেশগুলোর এমন অবস্থান হতাশ করেছে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের।
অবশ্য আফ্রিকার অনেক দেশের রাশিয়ার প্রতি এই সমর্থন কাকতালীয় কোন বিষয় নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, মহাদেশটির অনেক দেশেই মস্কো সমর্থিত সরকার রয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন হতে তাদের পাশে ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুইয়ে, এ্যাঙ্গোলা ও মোজাম্বিকের ক্ষমতাসীন দলগুলোর নেতাদের মনে রয়েছে, স্বাধীনতার স্বাদ পেতে কিভাবে তাদের অর্থ ও অস্ত্র থেকে শুরু করে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক এই সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি মস্কোর নানা বিবৃতি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও তুলে ধরা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকায় বেশ কয়েকবার সফর করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। প্রভাব বিস্তারে আফ্রিকার অস্থিতিশীল অঞ্চলগুলোর ওপর নজর দিয়েছে রাশিয়া। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালির মতো কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখ করার মতো ফলও এসেছে।
আফ্রিকার দেশগুলোতে রাশিয়ার বিনিয়োগ মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের এক শতাংশের কম। বাস্তবে তাই মহাদেশটির জন্য রাশিয়ার অবদান একেবারে নগণ্য। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আফ্রিকা সফরে গেছেন সম্প্রতি। তার এই সফর থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতায় আফ্রিকাকে এখন কতটা প্রয়োজন রাশিয়ার। মিসর, কঙ্গো, উগান্ডা ও ইথিওপিয়ায় লাভরভের এই সফরের পেছনে বড় একটা উদ্দেশ্য ছিল- রাশিয়া বিশ্বমঞ্চে প্রমাণ করতে চায় পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা একঘরে নয়। রাশিয়া দেখাতে চায় বড় শক্তি হিসেবে তারা এমন এক মিত্র, যারা শুধু নির্ঝঞ্ঝাটই নয়, তাদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ব্যবসা-বাণিজ্যও করা যায়। রাশিয়ার ভূকৌশলগত অবস্থান তুলে ধরার জন্য লাভরভের আফ্রিকা সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ভূ-আগ্রাসনকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার মতাদর্শিক লড়াই হিসেবে দেখাতে চায় রাশিয়া। তাতে মস্কো অনেকটাই সফল হয়েছে। কেননা, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশ সমালোচনা করেনি। মার্চ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে করা একটা প্রস্তাবে আফ্রিকার ৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল, কিংবা বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। বিশ্বের অন্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে আফ্রিকার এই অবস্থান বিপরীত।
সম্প্রতি খাদ্যশস্য রফতানিতে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তির বিষয়টিকে মানবিক উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরতে চায় মস্কো। যদিও আগ্রাসন চালিয়ে এবং দিনের পর দিন ইউক্রেনের বন্দর অবরুদ্ধ করে রেখে বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য পৌঁছাতে দেয়নি রাশিয়া। এছাড়া চুক্তির পর ওদেসা বন্দরে বোমা ফেলে খাদ্যকেও অস্ত্র করে তুলেছে মস্কো। এর সবকিছুর জন্য উল্টো পশ্চিমকে দোষারোপ করা হয়েছে। মতাদর্শিক অবস্থানের ওপর জোর দেয়ায় আফ্রিকায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা থেকেই যায়।
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো, যখন কোন প্ররোচনা ছাড়াই রাশিয়া আফ্রিকায় ব্যবসায়িক পাঁয়তারা চালানোর জন্য সমালোচিত হচ্ছে এবং বিশ্বের খাদ্য, জ্বালানি ও সারের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে, সেই সময়ে আফ্রিকার সরকারগুলো কেন লাভরভকে সফরে স্বাগত জানিয়েছে? এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো, রাজনৈতিক সমর্থন চায় মস্কো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া নানা অনানুষ্ঠানিক উপায়ে আফ্রিকায় নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে। পরামর্শক নিয়োগ, ব্যাপক তথ্য প্রচারণা, সম্পদের বিনিময়ে অস্ত্র চুক্তি এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাচারের মাধ্যমে সেটা করেছে মস্কো। কম খরচ করে অধিক লাভ লুটে নেয়ার এই প্রচলিত কৌশল বাস্তবায়ন করা হয়েছে আফ্রিকার শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার মাধ্যমে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি ও সুদানের নড়বড়ে শাসকরা মস্কোর এই কৌশল বাস্তবায়নে মূল ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছেন।
আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দিকটি হলো রাশিয়া পায়ের নিচে মাটি না থাকা নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছে, দেশগুলোর জনগণের ওপর নির্ভর করেনি। প্রথাগত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এটা নয়, বরং অভিজাতদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি লিবিয়ায় রাশিয়ার প্রচেষ্টায় একটা প্রক্সি সরকার গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এ ঘটনা দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠাকে নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে লিবিয়ার তেল নিজেদের আয়ত্তে নিতে পেরেছে মস্কো। সুদান ও তিউনিশিয়ায় গণতান্ত্রিক সরকার সরানোর ক্ষেত্রেও রাশিয়ার প্রধান সঙ্গী ছিলেন সিসি। এছাড়াও মিসরের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। কায়রোতে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়া ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এ প্রকল্পের অর্থনৈতিক মূল্য সামান্য। কিন্তু সিসি ও পুতিনের মধ্যে যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এটা তারই বহির্প্রকাশ। লাভরভের সফর থেকে এটা স্পষ্ট যে, আফ্রিকার নেতারা বিশ্বমঞ্চে রাশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক মূল্য খুঁজে পেতে চায়।
উল্লেখ্য, লাভরভ যে দেশগুলোতে সফর করছেন সেগুলোর বেশিরভাগই পশ্চিমের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। পশ্চিমের সঙ্গে আফ্রিকার সম্পর্ক ধসিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য থেকে লাভরভের এই সফর নয়; বরং নিজেদের উদ্দেশ্য আরও বেশি হাসিল করে নিতে চায় মস্কো। কিন্তু এটা আফ্রিকার নেতাদের জন্য বিপজ্জনক একটা খেলা। তবে আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য কিংবা বিনিয়োগের মতো বিপুল টাকা মস্কোর নেই। এছাড়াও বৈদেশিক বিনিয়োগের সঙ্গে খুব শক্তভাবে আইনের শাসনের বিষয়টি যুক্ত। বিশ্বে রাশিয়া যখন প্রায় একঘরে ঠিক তখন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে আফ্রিকার এই দেশগুলো ভবিষ্যতে পশ্চিমা বিনিয়োগের সুযোগকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে নয় কি? আফ্রিকায় বিনিয়োগকারী শীর্ষ ১০ দেশের ৯টিই পশ্চিমা, যা মোট বিনিয়োগের ৯০ শতাংশ। এতে আফ্রিকার দেশগুলোর ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হলো তা পুনরুদ্ধারে বহু বছর লেগে যেতে পারে। লাভরভের আফ্রিকা সফর কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মস্কো আফ্রিকা মহাদেশে কোন ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াই প্রভাব তৈরি করতে চায়।
এই কৌশল তখনই বাস্তবায়নযোগ্য যখন আফ্রিকা মহাদেশের কতিপয় সরকারপ্রধান রাশিয়াকে তাদের ক্ষমতা রক্ষার অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করবে। মস্কোর সঙ্গে আফ্রিকার নেতাদের অভিযাত্রার উদ্দেশ্য স্পষ্ট। কিন্তু আফ্রিকার সাধারণ মানুষের জন্য এতে তেমন কিছু পাওয়ার নেই। সংঘাত প্রলম্বিত হওয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং তাদের পশ্চিমা সহযোগী দেশগুলো একাধিক অসহযোগিতা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের আশ্রয় নিয়েছে।
এগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের কেন্দ্রে থাকা সুইফট পেমেন্টস সিস্টেম থেকে রুশ ব্যাংকগুলোকে বহিষ্কার, রুশ সম্পত্তি বাজেয়াফত, পর্যটনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, কম্পিউটার চিপ, কম্পিউটার ও অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য ব্যবহারে রাশিয়াকে বাধা দেয়ার মতো পদক্ষেপগুলো উল্লেখযোগ্য। রুশ মুদ্রা রুবলের মূল্য ৩০%-৪০% পর্যন্ত পড়ে গেছে, যার ফলে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র সমতুল্য মনে করছেন। রাশিয়ার ওপর জারি করা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আফ্রিকার অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষা পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যা আফ্রিকার দেশগুলোর সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা উভয়ের দরজাই খুলে দেবে। জারি করা নিষেধাজ্ঞা এবং সংশ্লিষ্ট সরবরাহ শৃঙ্খলা বিঘিœত হওয়ায় সর্বাধিক প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক পণ্যমূল্যের বৃদ্ধিতে, বিশেষ করে তেল এবং গমের ক্ষেত্রে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন মিলিতভাবে বিশ্বব্যাপী গম-ভুট্টা রফতানি প্রায় ৪০ শতাংশ যা আফ্রিকার মানুষের প্রধান খাদ্য। গমের বেশিরভাগই মিসরে আমদানি করা হয় এবং সেখান থেকে বাকি মহাদেশজুড়ে তা সরবরাহ করা হয়। গম-ভুট্টা এবং অন্যান্য পণ্য যেমনÑ অপরিশোধিত তেল এবং সার কৃষ্ণসাগরের একাধিক বন্দর থেকে আফ্রিকায় জাহাজের মাধ্যমে পাঠানো হয়, যা পণ্য চলাচলের জন্য একটি প্রধান পথ।
এর ফলে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরোধ এবং অব্যাহতভাবে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা নিয়ে কৃষ্ণসাগর দিয়ে গম-ভুট্টা আমদানির ওপর নির্ভরশীল অঞ্চল, যেমনÑ ঘানা, নাইজিরিয়া, কেনিয়া এবং সুদানের মতো আফ্রিকার দেশগুলো স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়েছে। বিশ্বে রাশিয়া যখন একঘরে ঠিক তখনই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে আফ্রিকার এই দেশগুলো ভবিষ্যতে পশ্চিমা বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
লাভরভের সফরসূচীতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশÑমিসর ও ইথিওপিয়া খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। পশ্চিমা শক্তির অবরোধের কারণে এ বছর বিশ্বে খাদ্যশস্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এতে আফ্রিকাজুড়ে তীব্র সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সর্বশেষ রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ওপর খাদ্যশস্য রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ক্রমশ। এটিও রাশিয়ার একটি কূটনৈতিক সাফল্য।
লেখক : গবেষক