
ছবি: সংগৃহীত
দেশের সব জাহাজ ভাঙা কারখানাকে ‘গ্রিন ইয়ার্ড’-এ রূপান্তর করতে হবে, না হলে এই খাত থেকে বিদায় নিতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড ঘুরে দেখার পর তিনি বলেন, ‘যারা গ্রিন ইয়ার্ড হতে পারবেন না দুঃখজনকভাবে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মাত্র ১৬টা এখন পর্যন্ত গ্রিন সার্টিফিকেট নিয়েছে। বাকিগুলো এখন পর্যন্ত নেয়নি।’
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হংকং কনভেনশন শর্তানুসারে তারা এ সনদ পেয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যগুলোও গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হবে। গ্রিন ইয়ার্ড ছাড়া অন্য ম্যানুয়াল ইয়ার্ড থাকবে না। যারা মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’
বিশ্বে জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশ শীর্ষে থাকলেও পরিবেশবান্ধব ইয়ার্ড গঠনে এখনো অনেক পিছিয়ে—জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই শিল্পে বিশাল সম্ভাবনা ছিল বিশ্বমানের একটি খাত গড়ে তোলার। কিন্তু আগের সরকারগুলো তেমন মনোযোগ দেয়নি। যার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’
নৌ পরিবহন জানান, শিল্পটি কীভাবে টেকসইভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে সরকার চিন্তা করছে এবং এ জন্য অর্থায়নের উৎস খোঁজা হচ্ছে।
‘নৌ পরিবহন, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ পুনঃব্যবহার—এই তিনটি খাত একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই খাতগুলোর উন্নয়ন হলে দেশের বন্দর ব্যবস্থাও আরও সমৃদ্ধ হবে,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিদর্শনকালে কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটির প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম এবং কবির গ্রুপের ডিএমডি মোহাম্মদ করিম শিল্পটির নানা দিক তুলে ধরেন। এসময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশল সদস্য কমোডর কাওসার রশীদ, সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাকিব