
ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সংবাদ দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিশ্ব গণমাধ্যমেও গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার সময় স্কুলটিতে চার থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত ছিল। আগুনে পুড়ে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক গুরুতর দগ্ধ হন। একজন শিক্ষক মাসুদ তারিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “আমি পেছনে তাকিয়ে শুধু ধোঁয়া আর আগুন দেখতে পাই।” একই অভিজ্ঞতা জানান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও।
রয়টারস সামরিক বাহিনীর সূত্র দিয়ে জানায়, ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মিলিয়ে শতাধিক মানুষ ছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, বিমানটি যখন ভবনে আঘাত হানে, তখন দ্বিতীয় তলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে ঘেরা বিমানটির জানালা ভেঙে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছেন তারা। আহতদের দ্রুত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
সিএনএন জানায়, দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ রক্ত দিতে ছুটে আসেন। স্কুলের চারপাশে ভিড় করেন স্বজনরা, কেউ নিখোঁজ সন্তানদের খোঁজে, কেউ বা দগ্ধ আত্মীয়ের মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আলজাজিরা একটি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর দিয়ে জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া অনেকেই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন।
ইন্ডিয়া টুডে উল্লেখ করেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ছিল চীনে তৈরি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-সেভেন যুদ্ধবিমান। প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।
গালফ নিউজ, দ্য স্টার (মালয়েশিয়া)-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও দুর্ঘটনার বিশদ তুলে ধরেছে।
এই দুর্ঘটনার বেদনা শুধু বাংলাদেশের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি—এটি বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা, সহানুভূতি ও সমবেদনা জানাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের মানুষ।
ইমরান