রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ হতাহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা আহতদের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন।
তবে উদ্ধার তৎপরতা চলাকালীন দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড়ের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বারবার ব্যাহত হয়। সেনা সদস্য ও মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ জানালেও অনেকে স্থান ত্যাগ করেননি। এতে করে আহতদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া ব্যাহত হয় এবং প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার সময় বিকেলের দিকে জনতার অমান্য আচরণের কারণে সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কিছু উৎসুক মানুষের ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত একটি অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দেয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তদন্তে যাদের দায় প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা সর্বদা জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে দেশের সেবা করে যাবে এবং এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় সত্য উদঘাটনে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আসিফ
